বুধবার, জুলাই ৯, ২০২৫
Led02Led05সদর

শামীম ওসমানের দুর্বৃত্ত-সন্ত্রাসীরা বিএনপির বিভিন্ন দলে যুক্ত হয়েছে: রফিউর রাব্বি

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা ও বিচারহীনতার ১৪৮ মাস উপলক্ষে আলোক প্রজ্বালন কর্মসূচি পালন করেছে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ শহরের আলী আহাম্মদ চুনকা নগর মিলনায়তন প্রাঙ্গণে, সংগঠনের সভাপতি জিয়াউল ইসলাম কাজলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েলের সঞ্চালনায় এই প্রতিবাদী কর্মসূচিতে নিহত ত্বকীর পিতা রফিউর রাব্বিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

আলোক প্রজ্বালন কর্মসূচিতে রফিউর রাব্বি বলেন, “শেখ হাসিনা দেশের বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে সরকার নিয়ন্ত্রিত করে রেখেছিলেন, যা এখনো স্বাভাবিক হয়ে ওঠেনি। তার দলের দুর্বৃত্ত, মাফিয়া, গডফাদারদের হাতে জিম্মি হয়েছিল সারা দেশের জনগণ। তার নির্দেশেই সাড়ে এগার বছর ত্বকী হত্যার বিচার বন্ধ করে রাখা হয়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিচার প্রক্রিয়া আবার শুরু করলেও তাতে এখনো পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি।”

তিনি আরও বলেন, “নারায়ণগঞ্জে ত্বকীসহ বহু হত্যায় অভিযুক্ত শামীম ওসমান পরিবারসহ পালিয়ে গেলেও তাদের দুর্বৃত্ত-সন্ত্রাসীচক্র আজকে বিএনপির বিভিন্ন দলে, গ্রুপে যুক্ত হয়েছে। নতুন করে দুর্বৃত্ত, মাফিয়া, গডফাদার তৈরি হচ্ছে। হাট-বাজার, ঘাট, পরিবহন, প্রতিটি ক্ষেত্র নতুন করে দখলে গিয়েছে। অভ্যুত্থান-উত্তর বাংলাদেশে জন-আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী এখনো বদল ঘটেনি। সরকার মব সৃষ্টিকারী দুর্বৃত্তদের নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হচ্ছে।”

রফিউর রাব্বি অভিযোগ করে বলেন, “যারা ত্বকীকে হত্যা করেছে সেই শামীম ওসমান, তার ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরী ওসমান, সন্ত্রাসী শাহ নিজাম- তারাই গত জুলাইয়ে আন্দোলনকারী ছাত্র-শিশুদের ওপর গুলি চালিয়েছে।” তিনি ত্বকী, সাগর-রুনী, তুনসহ নারায়ণগঞ্জের সকল হত্যার দ্রুত বিচার দাবি করেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, আগে শেখ হাসিনা ছিলেন ত্বকী হত্যার বিচারের মূল বাধা, কিন্তু এখন বাধাটা কোথায়? এখনো ওসমান পরিবারের দোসররা বিভিন্ন জায়গায় বহাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে। সকল বক্তা ত্বকী হত্যার নির্দেশদাতা শামীম ওসমানসহ সকল ঘাতকদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত অভিযোগপত্র প্রদানের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানান।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ নগরীর শায়েস্তা খাঁ রোডের বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয় তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। দু’দিন পর ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী খাল থেকে ত্বকীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ত্বকী হত্যার পর থেকে বিচার শুরু ও চিহ্নিত আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে প্রতি মাসের ৮ তারিখ আলোক প্রজ্বালনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট।

RSS
Follow by Email