শনিবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৫
Led02রাজনীতি

শামীম ওসমানকে গিয়াসউদ্দিনের প্রশ্ন ‘ডিএনডির কোটি কোটি টাকা কোথায় গেল’

লাইভ ‎নারায়ণগঞ্জ: বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, ‘আজ সামান্য বৃষ্টি হলেই ডিএনডির মানুষের দুঃখ দুর্দশায় পড়তে হয়। ডিএনডির কোটি কোটি টাকা কোথায় গেল গডফাদার। তোমাকে আজ মানুষ ঘৃণা করে। তুমি ২০০১ সালেও পালিয়েছো ২০২৪ সালেও পালিয়েছো। তুমি কাপুরুষ। আমরা জেলে গিয়েছি কিন্তু দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাইনি। তোমার মত কাপুরুষ আমরা নই। শেখ হাসিনার আমলে জীবন নিয়ে টানাটানি ছিল। পলাতক থেকেছি, স্ত্রীর জানাজায়ও অংশ নিতে পারিনি। ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ে কীভাবে আসবো। গত পাঁচ আগষ্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়েছে। তাই আজ আবারও আপনাদের মাঝে আমি এসেছি। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে আমাদের অনেক মায়ের বুক খালি হয়েছে। আমরা ততদিন আন্দোলনে ছিলাম যতদিন না স্বৈরাচারের পতন ঘটেছে। পাঁচ আগষ্টের পর আট তারিখ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় এসেছে। আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন এ দেশকে পুনরায় মেরামত করতে হবে। জনগণের দুঃখ দুর্দশা জানতে হবে। আমাদের তিনি নির্দেশ দিয়েছেন বেশি বেশি জনগণের কাছে যান।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) ফতুল্লা ইউনিয়নের ১ ও ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।

এসময় তিনি আরও বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে প্রেসক্লাব একটা সম্মানিত জায়গা। তারা আমাদের ভুলত্রুটি তুলে ধরে। তারা আমাদের পরম বন্ধু। অনেক ভাল সাংবাদিক আমাদের নারায়ণগঞ্জে আছে। ক্রীড়াঙ্গনে খেলোয়াড় তৈরি হবে। সেই ক্রীডাঙ্গনকেও তারা দখল করে নিয়েছিল। তারা তাদের পছন্দের লোকদের এসকল জায়গায় বসিয়ে রেখেছে। শিল্প ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও লুটপাট করে তারা ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। আমি যখন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাই আমি আমার বাবাকে বললাম আমি শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে নির্বাচন করবো আমার বাবা চিৎকার করে বললেন আলহামদুলিল্লাহ। আমি আল্লাহর কাছে তোমাকে ছেড়ে দিলাম। পরবর্তীতে আমি নেত্রীকে গিয়ে বললাম আমার বাবা মা আমাকে অনুমতি দিয়েছে। এখন আমি নির্বাচন করতে প্রস্তুত। নেত্রী খুশি হয়ে বললেন আমি নারায়ণগঞ্জে অনেক খুঁজে দেখেছি। আমার দলের নেতাদের দিয়ে হবে না ভেবেই আপনি যখন ভারতে ছিলেন পলাতক তখন থেকে আমি আপনাকে খুঁজছি। আপনি আমার দলের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করুন।

গিয়াসউদ্দিন আরও বলেন, আমি যখন মনোনয়ন নিয়ে এলাকায় প্রচারে নামি। কেউ আমার সাথে তখন যেতে চাইত না। বলে আপনাকে ভোট দিবো কিন্তু প্রচারণায় যেতে পারবো না। আমি যখন ফতুল্লায় ঢুকতে চাইলাম কেউ আমার সাথে নেই। তখন এই ইসদাইরের মরহুম শাহীন আমার বাড়িতে গিয়ে বলল আপনাকে নিয়ে আমরা ক্যাম্পেইন করবো। আপনি গাড়িতে থাকবেন, আমরা গাড়ির দুই পাশে থাকবো। গুলি চললে আমরা আগে মরবো। সেদিন আমি গাড়ি নিয়ে ইসদাইর ঢুকছি। বাড়ির জানালা থেকে লোকজন হাত নাড়ছে কিন্তু কাছে আসতে সাহস পাচ্ছে না। সেদিন শাহীনের স্ত্রী লিপি আমাকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানালো। আমি ইসদাইর ঘুরলাম। কোন মানুষ কাছে আসে না, দূর থেকে আমাকে শুভেচ্ছা জানায়। অনেক পুরনো স্মৃতি এগুলো।

RSS
Follow by Email