শামীম-আইভীদের ক্ষমতা থেকে যেতেই হবে, কোনো বিকল্প নেই: মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি বলেছেন, দেশের জনগণ আর আওয়ামী লীগকে ছাড় দেবে না। আপনাদের গদি ছাড়তে হবে। শামীম ওসমান, আইভী, আপনাদেরও ক্ষমতা থেকে যেতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের চাষাঢ়া শহীদ মিনারে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর ইসলামী আন্দোলনের উদ্যোগে নির্বাচন কমিশন বাতিল, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন (পিআর) পদ্ধতির প্রবর্তন, সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি বলেন, আজ আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতাসহ অঙ্গসংগঠনের ছোট ছোট নেতারাও আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে। এমন কোনো নিত্যপণ্য নেই যেগুলোর দাম না বেড়েছে। আওয়ামী লীগের কি লজ্জা করে না? অনেকের ভিসা নিষেধাজ্ঞায় পড়েছে। আওয়ামী লীগ স্বৈরতন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ধ্বংস করেছে। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে জগদ্দল পাথরের ন্যায় যে সরকার চেপে বসেছে তাকে বিদায় করবো।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর সেক্রেটারি যথাক্রমে মুহা. জাহাঙ্গীর কবির ও মুহা. সুলতান মাহমুদ-এর যৌথ সঞ্চালনায় মহানগর সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহর সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান যুগ্ম মহাসচিব, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিন কেন্দ্রীয় সভাপতি, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ, মুহাম্মাদ ওমর ফারুক সেক্রেটারি কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ), ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ, নূরুল বশর আজিজী কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, হযরত মাওলানা দ্বীন ইসলাম, সভাপতি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা।
বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, সহযোগী সংগঠন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর ও থানা শাখার নেতৃবৃন্দ। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জেলার সহ-সভাপতি হাফেজ আমিন উদ্দিন, মাও. শফিকুল ইসলাম, নগর সহ-সভাপতি মুহা. নুর হোসেন, গিয়াসুদ্দিন মুহা. খালিদ, জেলা ও নগর জেয়েন্ট সেক্রেটারি যথাক্রমে হাজী আমান উল্লাহ ও ডা. মুহা. সাইফুল ইসলাম, জেলা ও নগর সাংগঠনিক সম্পাদক যথাক্রমে মুহা. ফারুক আহমেদ মুন্সী ও মাও. শামসুল আলম, জেলা ও নগর প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক যথাক্রমে আ. হান্নান ও বিলাল খান, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ জেলা ও নগর সভাপতি মুহা. যোবায়ের হোসেন ও এইচ এম রবিউল ইসলাম, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ জেলা ও নগর সভাপতি ওমর ফারুক ও মাও. হাবীবুল্লাহ হাবিব, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ জেলা ও নগর সভাপতি যথাক্রমে আ. হান্নান ও মেহেদী হাসান, ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ জেলা ও নগর সভাপতি যথাক্রমে মাও. আ. হাকিম আদ দিফায়ী ও মাও. শাহজালাল, শিক্ষক ফোরাম জেলা ও নগর সভাপতি যথাক্রমে ক্বারী রেজাউল করীম ও মাও. আ. হান্নান।
গাজী আতাউর রহমান বলেন, সরকার উন্নয়নের কথা বলে জনগণের নাগরিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। দেশে এখন জনগণ নিজের ভোট নিজে দিতে পারে না। জনগণ আজ তাদের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার থেকে বঞ্চিত। আমরা বিরোধী দলকে শত্রু মনে করি না। তবে যারা অপরাধীদের শাস্তি দাবি করছি। লাগামহীনভাবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতি রোধ করতে সরকার বার বার ব্যর্থ হচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য-দ্রব্য সাধারণ জনগণের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে গিয়েছে। মানবেতর জীবনযাপন করছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষগুলো।
মাওলানা নেছর উদ্দিন বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা ওয়াদা দিয়েছিলেন যে তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা, তিনি জাতিকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেবেন। কিন্তু আমরা দেখেছি তারা দিনের ভোট রাতে বাক্সে ভরে নিজেদের ক্ষমকার চেয়ার পাকাপোক্ত করেছে।
জেলা সভাপতি মাওলানা দ্বীন ইসলাম বলেন, আজকে জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। দুর্নীতিবাজ, লুটেরা এবং বিদেশী তাবেদার শক্তি দেশের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। উন্নয়নের নামে দেশে দুর্নীতির মহোৎসব চলছে।
মুফতি মাসুম বিল্লাহ ভিসা নীতি প্রসঙ্গে বলেন, পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, জনগণের ভোট ও বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে যারা, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে যুক্তরাষ্ট্র। ভিসা নীতি স্বাধীন সার্বভৌম জাতির জন্য সম্মানজনক নয়।