শামছুজ্জামান সেলিমের স্মরণে সিপিবির সভা
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির সাবেক সভাপতি কমরেড শামছুজ্জামান সেলিমের স্মরণসভা সভা করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটি।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে পার্টির জেলা কার্যালয়ে সভাটি হয়।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড হাফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড মন্টু ঘোষ, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেরেড শিবনাথ চক্রবর্তী, কমরেড আ: হাই শরীফ, কমরেড দুলাল সাহা, কমরেড বিমল কান্তি দাস, কমরেড শাহানারা বেগম, ইকবাল হোসেন, আ: সালাম বাবুল, শোভা সাহা, সুজয় রায় চৌধুরী বিকু, এম এ শাহীন, নুরুল ইসলাম, শিশির চক্রবর্তী, আ: সোবাহান, রনজিত কুমার দাস প্রমূখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, কমরেড শামছুজ্জামান সেলিমের জন্ম ১৯৫০ সালের ২৭ অক্টোবর, পাবনার সাধুপাড়ায়। পরবর্তীতে তিনি ঈশ্বরদীতে স্থায়ী হন। সাঁড়া মাড়োয়ারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং ঈশ্বরদী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশোনা সম্পন্ন করেন। পরে বুলগেরিয়ার সোফিয়ায় সমাজবিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা একাডেমি থেকে সমাজবিজ্ঞানে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন। ১৯৬৮ সালে কিশোর বয়সেই গোপন কমিউনিস্ট পার্টিতে যুক্ত হন। পার্টির নির্দেশে তিনি ১৯৬৯ সালের আগস্টে পাকশী পেপার মিলে শ্রমিকের চাকরি নেন এবং ১৯৭৩ সালে সিবিএ’র সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের বিশেষ গেরিলা বাহিনীর প্রশিক্ষণ নিয়ে যুদ্ধে অংশ নেন। পার্টির নির্দেশে ১৯৭৪ সালে পার্টির সার্বক্ষণিক কর্মী হন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর ১৯৭৬ সালে গ্রেফতার হন। দুই বছর পর মুক্তি পান। ৮০’র দশকের শেষে সিপিবি পাবনা জেলার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বিলোপবাদকে মোকাবেলা করে ১৯৯৩ সালে সিপিবি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে দু’দফায় তিনি পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যের দায়িত্ব পালন করেন। একইসাথে বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র প্রেসিডিয়াম সদস্য, কেন্দ্রীয় সংগঠন বিভাগের প্রধান ও বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
তিনি জাতীয় দৈনিক ও সাপ্তাহিক একতায় নিয়মিত লিখতেন। ‘উৎসের সন্ধানে’ ও পার্টি সংগঠন বিষয়ে তার একাধিক পুস্তক প্রকাশিত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগ ছাড়াও হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন। শারীরিক অসুস্থতা স্বত্ত্বেও তিনি পার্টিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখছিলেন। আকস্মিকভাবে গত ১৭ আগস্ট ২০২৩ রাত ১০টা ৪৬মি. শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর মৃত্যুতে পার্টির অপুরনীয় ক্ষতি হয়ে গেল। নেতৃবৃন্দ বলেন তাঁর কর্ম, জীবন ও আদর্শ থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।