বুধবার, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৫
Led01রাজনীতি

শাওনের রক্তেই ফ্যাসিবাদের পতন শুরু: মামুন মাহমুদ

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য ও জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, যুবদল কর্মী শাওন প্রধানের রক্তের প্রতিবাদেই সেদিন থেকে ফ্যাসিবাদের পতন শুরু হয়েছে। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফতুল্লার নবীনগর কবরস্থানে শাওনের কবর জিয়ারত শেষে তিনি এই মন্তব্য করেন।

অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, “২৪ সালের আন্দোলনে যেমন আবু সাঈদ হাতে একটি ছোট লাঠি নিয়ে পুলিশের সামনে দাঁড়িয়েছিল, তেমনি শাওনের হাতেও ছিল একটি ছোট পাইপ। এটি কোনো মরণাস্ত্র ছিল না, বরং হামলার প্রতিবাদে সে এটি হাতে নিয়েছিল। সেদিন শাওন নিহত হলেও নারায়ণগঞ্জ তার বীরত্ব দেখিয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “সেদিন তিন ঘণ্টা আমরা সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে খালি হাতে যুদ্ধ করেছি। শেষে পুলিশ পালাতে বাধ্য হয়, এবং সেখান থেকেই সারাদেশে প্রতিরোধের আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এরপর আর পুলিশ আমাদের ওপর কখনও হামলা করতে পারেনি।”

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মন্তব্য করেন, ২০২২ সালে শাওনের রক্তের মধ্য দিয়ে যে ফ্যাসিবাদবিরোধী প্রতিরোধ সৃষ্টি হয়েছিল, তার ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীরা পালাতে বাধ্য হয়েছে। তিনি বলেন, “যারা পালাতে পারেনি তারা লুকিয়ে আছে বা জেলে রয়েছে। শাওন হত্যার বিচার করেই দেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করতে হবে।”

তিনি তৎকালীন জেলা পুলিশ সুপার রাসেলসহ নির্দেশদাতাদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানান। এছাড়া, শাওনকে স্মরণীয় করে রাখতে ২ নম্বর রেলগেটে একটি ‘শাওন স্মৃতিস্তম্ভ’ নির্মাণ, কবর সংরক্ষণ ও নামফলক স্থাপনের আশ্বাস দেন।

পরে নিহত শাওন প্রধানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম টিটু, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক, সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি এবং অন্যান্য স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মিছিলে পুলিশের গুলিতে যুবদল কর্মী শাওন প্রধান নিহত হন। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তৎকালীন জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি) ও সাবেক পাঁচ সংসদ সদস্যসহ ৫২ জনকে আসামি করা হয়েছে।

RSS
Follow by Email