শতাধিক শ্রমিকদের মাঝে মোহাম্মদ হাতেমের ঈদ সামগ্রী বিতরণ
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ইতিমধ্যে দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। মাকের্টগুলো জমে উঠেছে নগরবাসীর ঈদের কেনাকাটায়, বাস টার্মিনালগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন ঘরমুখি মানুষেরা। চারদিকে ঈদের আমেজ থাকলেও চিন্তা ও হতাশার ভাঁজ দেখা যায় পাঠানতুলির ফরিদা বেগমের কপালে। জিজ্ঞেস করতেই জানা যায়, রমজানের কিছুদিন আগেই চাকরি হারিয়েছেন তিনি। এরপর অনেক চেষ্টা করেও নতুন কোথাও চাকরির ব্যবস্থা করতে পারেননি। রমজান মাসে কিছুটা ধার করেই চালাতে হয়েছে তার ৪ সদস্যের সংসার। ২ মেয়ে এক ছেলের সংসারে তিনি একমাত্র উপর্যানকারী। এলাকার দোকানে তার নামে বাকি আছে প্রায় ৪ হাজার টাকা।
ইতিমধ্যেই অসচ্ছল শ্রমিকদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেন বিকেএমইএ’র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুপুর ১ টায় চাষাঢ়ার বিকেএমইএ’র ভবনের সামনে এ বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ১৩০ জন শ্রমিকদের মাঝে ঈদ সামগ্রী হিসেবে বিতরণ করা হয় পোলাওয়ের চাল, সয়াবির তেল, দুধ, চিনি ও সেমাই।
লাইনে দাড়িয়ে সেই ঈদ সামগ্রী পেয়েছেন ৩ সন্তানে মা ফরিদা। ঈদের জন্য সেমাই-চিনি পেয়ে বড্ড খুশি তিনি। লাইভ নারায়ণগঞ্জকে তিনি বলেন, ‘আমার চাকরি গেছে রোজার আগে। হেরপর ৪ কারখানায় খুজছি কিন্তু রোজার আগে কেউরে নিতো না। মাইয়া-পোলারা এখনো ছোট। ওর বাবা গাড়ি চালাইতো, ২১ সালে এক্সিডেন্ট করে মারা গেসে । ঈদে ছেলে-মেয়েকে একটু সেমাই খাওয়ানোর টাকা ছিলো না। দোকান থেকে আর বাকি দিবো না। এক আপা থেকে জানতে পারসি, এখানে সেমাই-চিনি দিবো। তাই আইসা নিলাম। আল্লাহ চাইলে ঈদের পর কাজ হবো, কিন্তু এখন তো ঈদের সেমাই চিনি ব্যবস্থা হইয়া গেসে, এতেই শুকুর।’
এদিকে ঈদ সামগ্রী বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের ব্যবসায়ী নেতা মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘আমাদের বিকেএমইএ প্রেসিডেন্টের একটা ব্যক্তিগত বিশেষ ফান্ড থাকে। সেই ফান্ড থেকেই আজ যাদের কাজ নেই বা একটু অসচ্ছল এমন ১৩০জন শ্রমিকদের মাঝে ঈদ উপলক্ষে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। আমরা সব সময় চেষ্টা করি শ্রমিকরা যেন ভালো থাকে। তাদের অধিকার যেন তারা সমান ভাবে পায়।’