ল্যাপটপ নিয়ে গেম খেলবেন না, সেটাকে কাজে লাগান; চন্দন শীল
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল বলেছেন, আমার ছাত্র জীবনে যখন পড়াশোনা শুরু হয়, তখন মুক্তিযুদ্ধও শুরু হয়। সে সময় ভাষণ দেওয়া হলো এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীণতার সংগ্রাম। কিন্তু আমাদের কি দুর্ভাগ্য, স্বাধীণতার পর বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলো। আমাদের তখনকার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন রাজাকার, দেশদ্রোহী। আপনারা পেয়েছেন শেখ হাসিনাকে, যিনি সব সময় বাংলাদেশকে নিয়ে ভাবনায় থাকেন। সব সময় বাংলাদেশকে নিয়ে ভাবছেন। আপনাদের কত সৌভাগ্য, আপনারা শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেয়েছেন।
শুক্রবার (৮ মার্চ) বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে প্রযুক্তির কল্যাণে নারীর ক্ষমতায়ন ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চন্দন শীল বলেন, এই নারায়ণগঞ্জে সেলিম ওসমান, শামীম ওসমান আছেন। তারা ৩০০ কোটি টাকা ব্যয় করে স্কুল-কলেজ নির্মাণ করেছেন, ল্যাপটপ দিয়েছেন। কিন্তু আমাদের কি দুর্ভাগ্য ছিল, আমাদের সময় পেয়েছি রাজাকার মশিউর রহমানকে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী ছিল মূর্খ। তখনকার সময়ে সাবমেরিন ক্যাবল প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব দেওয়া হলো, সে সময়ের সরকার প্রস্তাবটি নেয় নি। অথচ আমাদের শেখ হাসিনা সরকার শুধু সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন নি, তিনি সাবমেরিন ক্যাবল প্রতিষ্ঠা করে দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছেন। আমাদের সময়ে তৎকালীন সরকার সাবমেরিন ক্যাবল প্রতিষ্ঠা না করে দেশকে ৫০ বছর পিছিয়ে দিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, আজ আপনারা এসেছেন, আপনাদের শপথ নিতে হবে। আপনারা ট্রেনিং নিয়ে যে যোগ্যতা অর্জন করেছেন তার মাধ্যমে আরও ১০ জনকে শিখিয়ে যোগ্য করে তুলবেন। আর যারা ল্যাপটপ নিয়েছেন, তারা সেটায় গেম খেলবেন না। ঋণ করবেন না। সেটাকে কাজে লাগান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান, জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন প্রমূখ।