লাগামহীন ডিমের দাম, বিপাকে স্বল্প আয়ের মানুষ
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: স্বল্প আয়ের মানুষের পুষ্টির বড় অংশ পূরণ করে ফার্মের মুরগির ডিম। সেটির দামও লাফিয়ে বেড়ে এখন রেকর্ড গড়েছে। প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়। আর খুচরা বাজারে ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা করে বিক্রি হতে দেখা গেছে। দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি হালি ৬৮টাকা।
সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের দিগুবাবুর বাজারসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি হালি ডিমের দাম ৫ টাকা বেড়ে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড়বাজার থেকে কিনলে ডিমের ডজন ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা, আর খুচরা দোকানে ১৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা জানান, দুই দিনের ব্যবধানে প্রতি শ’ ডিমের দাম পাইকারিতে প্রায় ৩৫-৪০ টাকা বেড়েছে। খুচরা পর্যায়েও ডজনপ্রতি দাম বেড়েছে চার-পাঁচ টাকা করে। এ নিয়ে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজনপ্রতি ১৫-২০ টাকার মতো বেড়েছে।
নগরীর দিগুবাবুর বাজারের ডিম বিক্রেতা আব্দুর রহিম বলেন, পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়ায় বেশি দামে ডিম বিক্রি করতে হচ্ছে। বাদামি ডিম ডজনপ্রতি ১৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। উৎপাদন খরচ নির্ধারণ না হওয়ায় ডিমের বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে কোনো ধারণা করা যাচ্ছে না। দামটা আরেকটু বাড়তি ছিলো, এখন কিছুটা কমেছে।
পাইকারি ডিম বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে ডিমের সরবরাহ কিছুটা কমেছে। এ ছাড়া এপ্রিল-মে মাসে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে ক্ষতির মুখে পড়েছেন খামারিরা। অতি গরমে অনেকের খামারে মুরগি মারাও গেছে। যার প্রভাব পড়েছে ডিমের বাজারে।
এদিকে, লাগামহীন ভাবে ডিমের দাম বাড়ায় বিপাকে পরেছেন স্বল্প আয়ের মানুষ। কেননা পুষ্টির চাহিদা মেটাতে শ্রমজীবী মানুষের খাদ্য তালিকার শীর্ষ অবস্থানে থাকে ডিম। ডিমের এমন অস্বাভাবি দাম বৃদ্ধিতে দিশেহারা সর্বসাধারণ।
দিগুবাবুর বাজারে কথা হয় এমনই একজন গৃহিণী শামসুন্নাহার বেগমের সাথে। তিনি বলেন, বাজারের সবকিছুর দাম এখন বেশি। ডিমের হালি যদি ৬০ টাকা হয় তাহলে আমরা কি খাব। সবজির দামও বেশি রাখছে বিক্রেতারা। আমরা সাধারণ ক্রেতারা অসহায়।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, গত ১০ অর্থবছরে দেশে ডিম ও দুধ উৎপাদন বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। এ সময়ে মাংস উৎপাদন বেড়েছে দ্বিগুণের কাছাকাছি। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে দেশে ডিমের উৎপাদন ছিল ১ হাজার ১৭ কোটি, যা এখন বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৩৩৮ কোটি।
তবে, বাজারের অস্থিতিশীলতার কারণে উৎপাদন বাড়ার সুফল পাচ্ছেন না সাধারণ ভোক্তারা।