র্যাব-১১ ও ৯ এর যৌথ অভিযানে ধর্ষণ মামলার আসামী গ্রেফতার
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ধর্ষণ মামলার পালাতক আসামী কথিত ইউটিউবার পরিচয় প্রদানকারী আল আমিনকে (৩৩) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন। র্যাব-১১ ও র্যাব-৯ এর যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার (১৪ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব ১১ এর সিনিয়র এএসপি মোঃ রিজওয়ান সাঈদ জিকু এ তথ্য জানান।
এর আগে, ১৩ আগস্ট সিলেট মোগলাবাজার থানাধীন দক্ষিণ কুশিঘাট বাজারের ইসরাক এন্টারপ্রাইজের সামনে থেকে আসামিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার আসামি সিদ্ধিরগঞ্জ থানার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলার এজাহারনামীয় আসামি।
আল আমিন পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার তেতুলবাড়ীর আব্দুস সালামের ছেলে। সে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া মাদ্রাসা রোডের ইলিয়াস হুজুরের বাড়িতে বসবাস করছিল।
মামলা ও প্রাথমিক তদন্তের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, বিবাদী আল আমিন (৩৩) অত্র মামলার বাদীর প্রতিবেশী এবং তিনি নিজেকে একজন ইউটিউবার হিসাবে পরিচয় দিয়ে থাকেন। এই পরিচয়ের সূত্র ধরে তিনি ভিকটিমের সাথে এক মাস পূর্বে সখ্যতা গড়ে তোলেন। গত ১৮ জুলাই দুপুরে আল আমিন বাদীর বাড়িতে এসে তার মেয়ে ভিকটিমকে (১৬) একা পেয়ে ফুসলিয়ে বিবাদীর সাথে তার বর্তমান ঠিকানার বাসায় নিয়ে যায়। ভিকটিম বিবাদীর রুমে প্রবেশ করা মাত্র বিবাদী তার রুমের দরজা বন্ধ করে দিয়ে ভিকটিমকে ধর্ষণ করে এবং তার ভিডিও ধারণ করে রাখে। ভিকটিম লোক লজ্জার ভয়ে বিষয়টি কাউকে বলে নাই।
পূনরায় গত ২১ জুলাই দুপুরে বিবাদী ভিকটিমকে তার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল করে দেয়ার ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে আবারও ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে ও ভিডিও ধারন করে রাখে। এরই প্রেক্ষিতে ভিকটিমের বাবা ইমন সরকার বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ ও পর্ণোগ্রাফি আইনে মামলা করেন। মামলা দায়ের করার পর থেকে আসামি আল আমিন (৩৩) আত্মগোপনে চলে যায়।