বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
Led05ক্রীড়া

রোনালদিনহো বাংলাদেশে, দেখা করবেন জামাল- সাবিনার সাথে

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের অপেক্ষার পালা শেষ। ভারত সফর শেষে এবার ঢাকায় পা রেখেছেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী তারকা রোনালদিনহো। বুধবার (১৮ অক্টোবর) বিকেল তিনটার পর কলকাতা থেকে ঢাকায় আসেন তিনি।

এর আগে গত জুলাই মাসে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেস। কয়েক ঘণ্টার বাংলাদেশ সফর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সাড়া ফেলেছিল। মার্তিনেজকে ঢাকায় আনা কলকাতার ক্রীড়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তই নিয়ে এসেছেন ৪৩ বছর বয়সী রোনালদিনহোকে। সেই পথ ধরেই এবার এলেন দক্ষিণ আমেরিকার আরেক ফুটবল পরাশক্তি ব্রাজিলের সাবেক তারকা ফুটবলার।

বিমানবন্দরের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে আজ পাঁচতারকা হোটেল রেডিসনে যাবেন রোনালদিনহো। অভিজাত হোটেলটি রোনালদিনহোকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত। ব্যানার, বোর্ড দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে রেডিসন। এখানে বিশ্রাম নিয়ে তিনি সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে গণভবনের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তির। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন রোনালদিনহো।

এ ছাড়া জাতীয় পুরুষ এবং নারী দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ও সাবিনা খাতুনের সঙ্গে দেখা করবেন রোনালদিনহো। গুঞ্জন রয়েছে, ব্রাজিল ফুটবল দলের সমর্থক, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালও সাক্ষাৎ করবেন রোনালদিনহোর সঙ্গে।

বিশ্ব ফুটবলে রোনালদিনহোর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। সোনালী সময়টায় অবিশ্বাস্য সব ফুটবলশৈলীতে মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখতেন সবাইকে। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে অর্জনের শেষ নেই। ব্রাজিলের হয়ে ২০০২ বিশ্বকাপ, ২০০৫ ব্যালন ডি’অর, বার্সেলোনার জার্সিতে ২০০৫-০৬ চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি উল্লেখযোগ্য।

ব্রাজিলের জার্সিতে ৯৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন নিজের প্রজন্মের ফুটবল জাদুকর রোনালদিনহো। সতীর্থদের দিয়ে প্রচুর গোল করানোর পাশাপাশি নিজে প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠিয়েছেন ৩৩ বার। ২০০২ বিশ্বকাপ জয়ে দু’টি গোলের উৎসমূলে ছিলেন।

১৯৯৮ সালে শৈশবের ক্লাব গ্রেমিওর হয়ে পেশাদার ক্লাব ফুটবলে পা রাখেন সে সময়কার বিস্ময়বালক রোনালদিনহো। তিন বছর পর পিএসজিতে (২০০১-০৩) যোগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইউরোপিয়ান ক্যারিয়ার। বিশ্বকাপ জয়ের পর প্যারিস থেকে পাড়ি জমান বার্সেলোনায়। ন্যু ক্যাম্পে পাঁচ বছরে নিজেকে নিয়ে যান সাফল্যের নতুন চূড়ায়। বার্সা অধ্যায়ের পর এসি মিলান হয়ে ফ্ল্যামেঙ্গো, অ্যাতলেতিকো মিনেইরো, কুয়েরেতারো (মেক্সিকো) থেকে ফ্লুমিনেন্সে এসে সমাপ্তি টানেন। পেশাদার ফুটবলে ২০১৫ সালে সর্বশেষ ম্যাচ খেলেন তিনি।

RSS
Follow by Email