রোজা শুরুতেই নগরীর ইফতার বাজারে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: সেহেরির মধ্য দিয়ে শুরু হলো মুসলমান ধমালম্বিদের পবিত্র রমজান মাস। সকাল থেকে নগরীর কর্মব্যস্ত মানুষদের আনাগোনা কম থাকলেও বিকেল হতেই বাড়ে জনসমাগম। আছরের নামাজের পর ভিড় জমে বাজারে, ফলের দোকান ও ইফতারের দোকান গুলোতে। শুধু প্রধান সড়কগুলোতেই নয় নগরীর অলিগলিতেও বসেছে জিলাপি, ছোলা, পেঁয়াজু কাবাবসহ নানা সুস্বাদু খাবারের পসরা। প্রথম রোজায় একটু আগেভাবেই ইফতার জন্য পছন্দের খাবার কিনতে দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন রোজাদারেরা।
রবিবার (২ মার্চ) নগরীর ২নং রেল গেট, বঙ্গবন্ধু সড়ক, চাষাঢ়া, কালির বাজার, মন্ডলপাড়া, খানপুরসহ বিভিন্ আশেপাশের এলাকায় দেখা যায় এমন দৃশ্য। মুখোরোচক খাবারের পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে দোকানগুলো। বিকেল গড়ানো সাথে সাথে বাড়ছে বেচাকেনা, চলছে ইফতারের আগ পর্যন্ত। রোজার প্রথম দিন থেকেই হাক-ডাক দিয়েই বিক্রি হচ্ছে ইফতার।
এবারের ইফতারে আইটেমগুলোর মধ্যে আছে খাশির রান, গ্রিল চিকেন, বুন্দিয়া, গরুর কালো ভুনা, কাচ্চি, মগজ ভুনা, চিংড়ি বল, পরোটা, লুচি, চিকেন তান্দুরি, চিকেন বটি কবাব, দই চিড়া রেশমি জিলাপি, বোম্বে জিলাপি, রেশমি কাবাব, আলুর চপ, বেগুনের চপ, ছোলা, পেঁয়াজু। শুধু তাই নয় পানীয় খাবারের মধ্যে রয়েছে আখের শরবত, পেস্তা বাদাম শরবত, বেলের শরবত, তরমুজের শরবত, লেবুর শরবত, বিভিন্ন ফলের আইটেম থেকে তৈরী শরবতসহ অসংখ্য আয়োজন।
ইফতার বাজার এখানেই শেষ নয়। নগরবাসী ভিড় জমাচ্ছে ফলের দোকানেও। দুপুর থেকে নারায়ণগঞ্জে নগরের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে বিক্রি হতে দেখা যায় কলা, বাঙ্গি, তরমুজ, আনারস, আপেল, আঙ্গুরসহ বিভিন্ন ধরনের খেজুর। ইফতারে খেজুর ও ফলের চাহিদা বেশি থাকায় নগরীর চাষাঢ়া, কালীর বাজার, ২নং রেলগেইট এলাকায় এসব ফলের দোকানে বেশি ভিড় দেখা যায়।
তবে বিগত বছরের তুলনায় এবছর মোটামুটি সব ধরণের খাবারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব ইফতার নিন্মবিত্ত ও মধ্যেবিত্তদের অনেকটা নাগালের বাহিরে বলে মন্তব্য করেছেন একাধিক ক্রেতারা।
এ বিষয়ে ক্রেতা আশফাক সিয়াম বলেন, এবার প্রথম রোজায় বাসায় কিছু আয়োজন আছে, কিন্তু বাহিরের কিছু ইফতার খুব ভালো লাগে। তাই বাহির থেকে ইফতার কিনতে আসছিলাম। কিন্তু ইফতারের দাম গতবারের তুলোনায় একই রকম মনে হচ্ছে। মধ্যেবিত্তদের এবার রমজানে ইফতার কিনে খাওয়াটা একটু সহজ হবে।
আরেক ক্রেত্রা শাহীন মিয়া জানায়, প্রথম রোজা তাই ছেলে মেয়ে বায়না ধরেছে বাহিরের খাবার খাবে। তাই বাসায় কোন আয়োজন করা হয় নি। ফোন করে বলে দিয়েছে, অফিস থেকে বাসায় যাওয়ার সময় কিনে নিয়ে যাচ্ছি। তাছাড়া অধিকাংশ রেস্তোরায় অস্বাস্থ্যকর তেল দিয়ে খাবার তৈরী করছে এতে করে এসব খাবার খেয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে হবে।