রূপগঞ্জে মামুন হত্যা: শরীয়তপুরে ‘বাবু’ আটক, র্যাবের দাবি প্রধান আসামি
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: রূপগঞ্জে গত মাসে চাঞ্চল্যকর ব্যবসায়ী মামুন ভূঁইয়া হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত জাহিদুল ইসলাম বাবুকে (২৮) শরীয়তপুর থেকে আটক করেছে র্যাব-১১। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দিবাগত রাতে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়ার পাঁচগাঁও, কেদারপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
মামলার এজাহার ও গণমাধ্যম সূত্রে র্যাব জানায়, গত ১০ জুন, ২০২৫ তারিখ মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয়রা খোকা নামের একজনকে আটক করে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে জাহিদুল ইসলাম বাবু নিজস্ব লোকজন নিয়ে খোকাকে ছাড়িয়ে নিতে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এরপর জাহিদুল ইসলাম বাবুর নেতৃত্বে আনুমানিক ২০-২৫ জন লোক জোটবদ্ধ হয়ে কয়েকটি অজ্ঞাতনামা মোটরসাইকেল যোগে হাতে পিস্তলসহ ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঐদিন দুপুর আড়াইটার দিকে রূপগঞ্জ থানাধীন ভুলতা ইউনিয়নের মাঝিপাড়া নয়াবাজার গ্রামের রাসেল ডাক্তারের দোকানের সামনে মামুন ভূঁইয়াকে (৩৫) ঘিরে ধরে এলোপাতাড়ি মারধর করে।
অভিযুক্ত জাহিদুল ইসলাম বাবু তার হাতে থাকা অবৈধ পিস্তল দিয়ে মামুন ভূঁইয়ার মাথায় গুলি করলে তার মাথার বাম পাশে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয় এবং তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এসময় সাব্বির হোসেন খোকা এবং রাসেল ফকিরও তাদের কাছে থাকা পিস্তল দিয়ে মামুন ভূঁইয়াকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়, তবে সে গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ী মামুন ভূঁইয়াকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে ঐ রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে নিহত মামুন ভূঁইয়ার বড় ভাই মো. বাদল ভূঁইয়া বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
র্যাব আরও জানায়, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত অভিযুক্তদের আটকের জন্য ঘটনার পরপরই র্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়। এরই ধারাবাহিকতায় নিজস্ব গোয়েন্দা নজরদারি ও সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১ নারায়ণগঞ্জের একটি চৌকস আভিযানিক দল আজ জাহিদুল ইসলাম বাবুকে আটক করতে সক্ষম হয়। আটককৃত জাহিদুল ইসলাম বাবুকে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।