রূপগঞ্জে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবি শিক্ষকদের
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে রূপগঞ্জে মানববন্ধন করেছে স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষকরা। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সলিমউদ্দিন চৌধুরীবিশ্ববিদ্যালয় কলেজ অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর মালুম, মত্তুজাবাদ কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আনম বোরহান উদ্দিন, দেবই কাজিরবাগ আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা শাহরিয়ার আহমেদ মোঃ বশির উদ্দিন, ছাত্তার জুট মিলস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, সহিতুননেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আল আমিনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা এ মানববন্ধনে অংশ নেন।
এ সময় শিক্ষকরা বলেন, ফ্যাসিষ্ট সরকার পরিকল্পিতভাবে মাধ্যমিক শিক্ষাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছে। জুলাই-আগষ্ট বিপ্লবের মধ্য দিয়ে ছাত্র-জনতার বৈষম্য বিরোধী দেশ গড়তে শিক্ষকদের নৈতিক দাবি মানতে হবে। মাধ্যমিক স্তরের প্রতিষ্ঠানের ৯৭% বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানগুলি জাতীয়করণ করা অত্যন্ত জরুরী। একই শিক্ষাগত যোগ্যতা, একই, কারিকুলাম একই বোর্ডের আওতায় পরীক্ষা অথচ সরকারি ও বেসরকারি নাম দিয়ে আর্থিক ও সামাজিক মর্যাদার মধ্যে বিরাট বৈষম্য তৈরী করে রাখা হয়েছে যা শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নে প্রধান অন্তরায়। শিক্ষার সকল ষ্টকহোল্ডারদের প্রাণের দাবি, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা জাতীয়করণ।
তারা আরও বলেন, শিক্ষকেরা একাডেমিক কাজে দক্ষ। তাদের সকল প্রশিক্ষণ পেড্যাগোজি কেন্দ্রিক। ক্লাস রুমের পঠন-পাঠনে তারা দক্ষ। অন্যদিকে শিক্ষা প্রশাসনে দীর্ঘ ৩১ বছরে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের সকল প্রশিক্ষণ প্রশাসনিক। শিক্ষকতা ও প্রশাসন ভিন্ন চরিত্রের, ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের, কাজের ধরন ভিন্ন, চর্চা বা অনুশীলন ভিন্ন। শিক্ষকরা প্রশাসনে অনভিজ্ঞ, জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপপরিচালক পদে তাঁদের পদায়ন করা হলে সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক শূন্যতা যেমন সৃষ্টি হয় তেমনি ক্লাস রুম শিক্ষকতায় অভিজ্ঞ একজন শিক্ষক কে উল্লেখিত পদ সমূহে পদায়ন করা হলে বিভিন্ন বিধি বিধান সম্পর্কে পূর্ব জ্ঞান না থাকার কারণে অফিসের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন নিম্নপদের লোকজনের পরামর্শ দ্বারাই পরিচালিত হতে হয়। প্রশাসনিক দৃঢ় সিদ্ধান্ত তাঁরা গ্রহণ করতে পারেনা। এছাড়াও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পদে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকগণকে পদায়ন করা হলে প্রশাসনিক অনভিজ্ঞ সিনিয়র শিক্ষকের অধীনে বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় ও মাদ্রাসার প্রধানগণকে কাজ করতে হবে। এতে শিক্ষাঙ্গনে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হতে পারে।