বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
জেলাজুড়েরূপগঞ্জ

রূপগঞ্জে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: রূপগঞ্জে এক স্কুলের ধর্মীয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষকের নাম নুরুর রহমান, নুরুন্নেছা স্কুল এন্ড কলেজের ধর্ম বিষয়ক শিক্ষক তিনি। তার বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে দরখাস্ত করেছে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে দেয়া দরখাস্ত সূত্রে ও সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, দাউদপুরের খাস কামালকাঠি এলাকায় নুরুন্নেছা স্কুল এন্ড কলেজের ধর্মীয় শিক্ষক নুরুর রহমান তার ছাত্রীদের গায়ে হাত দেয়া, খালি হাতে মারধর, কুপ্রস্তাবসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত। এসব ঘটনায় একাধিকবার সতর্ক করা হলেও গত ১০ নভেম্বর একই বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে তার শ্রেণি কক্ষে একা পেয়ে গায়ে হাত দেয়াসহ কুপ্রস্তাব দেয়। এতে ওই ছাত্রী রাজি না হওয়ায় শিক্ষক নুরুর রহমান বেধরক মারধর করে। এ ঘটনা বাড়িতে গিয়ে শিক্ষার্থী তার পরিবারকে জানালে তারা প্রথমে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও অধ্যক্ষকে অবহিত করে। এতে বিচার না পেয়ে গত ১৮ নভেম্বর রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন অভিভাবকরা। এতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করলেও সংশ্লিষ্ট কমিটি তদন্ত করা শুরু করে।

এদিকে সোমবার (২০ নভেম্বর) সকালে শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নেয়ার জন্য এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক হুমকী দিয়েছে স্থানীয় লোকজন। ভুক্তভোগী অভিভাবক রতন জানায়, তার ভাতিজির বিচার চেয়ে বিপাকে ও নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক নুরুর রহমান বলেন, আমি গত ২৮ বছর যাবৎ শিক্ষকতা করছি। ছাত্রীদের গায়ে হাত দিয়েছি তবে তা আমার নিজের মেয়ে মনে করে পিতাসুলভ শাসনের চেষ্টা করেছি মাত্র। কোন কুপ্রস্তাব বা কুনজর কখনো কাউকে দেইনি। আর শিক্ষার্থীর অভিভাবক কে হামলা করেছে তা আমি জানিনা।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে নুরুন্নেছা স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমির হোসেন বলেন, শিক্ষক দ্বারা শিক্ষার্থী নির্যাতন প্রসঙ্গে অভিযোগ পাওয়ার পর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়। সেটা তদন্তাধীন রয়েছে। আপাতত ওই শিক্ষক কোন ক্লাস নিচ্ছেন না।

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন বলেন, সংশ্লিষ্ট স্কুল শিক্ষক নুরুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা তাৎক্ষণিক কলেজে যাই। সেখানে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে ঘটনার সততা পাওয়া গিয়েছে। তারপরও তদন্ত কমিটি করা হয়েছে, তদন্ত চলছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে আপাতত সাময়িক সাসপেন্ড করেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডি।

RSS
Follow by Email