রূপগঞ্জের গ্যাস বিস্ফোরণে এবার মারা গেলে মা, নিহত বেড়ে ৫
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: রূপগঞ্জের গ্যাস বিস্ফোরণের ঘটনায় একই পরিবারের দুই ছেলে, এক মেয়ের ও বাবার পর এবার মারা গেলেন দগ্ধ মা সেলি বেগম (৩৫)। শুক্রবার (১ নভেম্বর) দুপুরে বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) তরিকুল ইসলাম।
লাইভ নারায়ণগঞ্জকে তিনি বলেন, আজ দুপুরে দগ্ধ সলি বেগম মারা গেছেন। শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল তার। তবে এ ঘটনায় একমাত্র ২০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে এখন চিকিৎসা নিচ্ছেন সোহেলের স্ত্রী মুন্নি খাতুন (১৮)। তবে তাঁর অবস্থাও শংকটাপন্ন।
এর আগে, ২৫ অক্টোবর রাত পৌনে ১১টায় রূপগঞ্জের ডহরগাঁও গ্রামে গ্যাস বিস্ফোরণরের ঘটনা ঘটে। এসময় দগ্ধ একউ পরিবারের ৬ জনকে নিয়ে যাওয়া হয় শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে। এরপর ২৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় মৃত্যু হয় শিশু তাসলিমার (৯), ৩০ অক্টোবর ভোরে মৃত্যু হয় ভাই ইসমাইলের (১১), একইদিন সকাল ৯টার দিকে মারা যান আরেক ভাই সোহেল মিয়া (২০), ৩১ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) ভোরে মারা যান বাবা বাবুল মিয়া (৪০) আর সবশেষ এই পরিবারের সেলি বেগমে আজ শুক্রবার দুপুরে শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেন।
গনমাধ্যমে নিহত বাবুলের ভাই এনামুল জানান, তাঁদের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ থানার সুজাপুর গ্রামে। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জ থানার ডহরগাঁও এলাকার ওই বাসার নিচতলায় ভাড়া থাকত । বাবুল রাজ মিস্ত্রির কাজ করতআর স্ত্রী সেলি এনজেড গার্মেন্টেসে কাজ করত । সোহেল ফকির ফ্যাশন নামে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। আর সোহেলের স্ত্রী মুন্নি গৃহিণী এবং ইসমাইল ও তাসলিমা থাকতো একই বাসায়ই । ওই বাসায় পাশাপাশি রুমে ছিলেন। চাচা বাবুলের ঘরে গ্যাস টেনে আনার জন্য একটি কম্প্রেসার মেশিন আছে। রাতে তাঁরা খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পরলে হঠাৎ ওই কম্প্রেসার মেশিন বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তাঁরা ছয়জন দগ্ধ হয়।