রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
Led04জেলাজুড়েবন্দররাজনীতি

রাজাকারের লিস্ট বানাইনি, যেটা অসুবিধা হয়ে দাঁড়িয়েছে: সেলিম ওসমান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান বলেছেন, স্বাধীনতার বিপক্ষে যারা আছে, তারাই এই কাজ গুলো করেছে। এমনও হতে পারে আমাদের সাথেই সে আছে। সষ্যের ভিতরে ভূত এটা আগে বুঝতাম না। এখন দেখছি আসলেই সষ্যের ভেতর ভূত আছে। যখন আমার খেলার মাঠে থাকার কথা তখন আমি ছিলাম যুদ্ধের মাঠে। আমরা যে দেশ স্বাধীন করেছি, এটা আমাদের অহংকার। আমরা একটা মানচিত্র, পতাকা আনতে পেরেছি। এখন বাচ্চারা ভালোভাবে পড়াশোনা করছে। এটাই ছিলো আমাদের যুদ্ধের কারণ। ড্রাগস দিয়ে বাচ্চাদের এখানে ঢুকানো হচ্ছে। ড্রাগস একবার বিডিআর এর মধ্যে ঢুকানো হয়েছে। ড্রাগস যখন খায় তখন কিন্তু জানে না সে কি করছে। আমাদের নারায়ণগঞ্জে একটা ফেক্টরী জ্বালায় দিলো. ইন্ড্রাট্রিয়াল পুলিশের ওইখানে হামলা করলো, বাস জ্বালায় দিলো, নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে হামলা করলো, পাসপোর্ট অফিস পোড়ায় দিলো। এগুলা প্লানিং করে ক্ষতি গুলো করা হয়েছে। আমাদের দেশটা ভালো ছিলো, আমরা যদি ত্রাণ দিতাম তাহলে মানুষ লাইন দিয়ে নিয়ে যেতো। এই সভ্য সমাজকে আজকে অসভ্য করে ফেলছে।

বৃহস্পতিবার রাতে চলমান সহিংসতায় বন্দর থানার আহত ৬জন পুলিশ সদস্যকে সশরীরে দেখতে গিয়ে, এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় প্রত্যেক আহত পুলিশ সদস্যদের এমপি সেলিম ওসমানের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আমাদের বন্দরে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধি আছে। কিন্তু সেটা যদি ঘুষের মাধ্যমে আসে, টাকার মাধ্যমে আসে বা টাকা দিয়ে যদি ইলেকশন হয়। তাহলে অশান্তি হবেই। আজকে পুলিশের উপর হামলা করে। পুলিশের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চেক করে, আমাদের ফেক্টরীগুলোতে গিয়ে চেক করে পুলিশ আছে কিনা। কারণ পুলিশ থাকলেই দোষ। পুলিশকে অর্ডার করেছে গুলি করবেন না। আমাদের পুলিশের যদি গুলি করার অর্ডার থাকতো তাহলে আজকে একটা পুলিশও আহত হইতো না। অনেক জায়গায় পুলিশের বাড়ি গিয়ে তাদের ফ্যামিলিকে ক্ষতিগ্রস্থ করা হয়েছে। সেদিন আমাদের জানানো সাথে সাথে সালাম (চেয়ারম্যান) ও রশিদ ভাই বলাতে যাওয়া হইছে, নয়তো আমরা আজকে আমাদের ওসি সাহেবকে দেখতে পেতাম না। ওইটা যদি সাকসেক্স হইয়া যেতো তাহলে একটা ভীতি কাজ করতো। পুলিশ আমাদের বন্ধু আমরা পুলিশের সাথে থাকবো। আমরা সব সময় তাদের সাথে থাকবো। সেদিন এমন লোক গুলো নামছিলো, তারা কামড় দিলে মানুষ মারা যাবে। এটা প্লানিং করে করা হইছে। কিন্তু এটা আর পারবে না। কারণ বার বার ঘুঘু এসে ধান খেয়ে যেতে পারবে না। এখন সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, প্রতিটা থানায়, ইউনিয়নে, পাড়া মহল্লায় থাকতে হবে। আজকে একটা দলকে বহিস্কার করা হয়েছে। কিন্তু তারা থেকে যাবে। আর এদেরকে আমাদের চিহ্নিত করতে হবে। আমরা রাজাকারের লিস্ট বানাইনি, মুক্তিযোদ্ধাদের লিস্ট বানাইছি। যেটা আমাদের জন্য অসুবিধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সেলিম ওসমান বলেন, পুলিশ যদি কাউকে ধরে আর সেটার জন্য যদি তদবির আসে। সেটা হবে খুব খারাপ। সবার কাছে আমার অনুরোধ, আমাদের দেশকে, এলাকা, পাড়া মহল্লাকে বাঁচাতে হবে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জাতে নিশ্চিন্তভাবে কাজ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। বন্দরে কিছু কিছু স্কুলে নকল সার্টিফিকেট দিয়ে স্কুলের কমিটি হইছে। এতে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ঠিক থাকবে না।

বন্দর থানা পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম.এ রশীদ, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন প্রধান, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদ, ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন, মদনপুর ইউনিন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এম.এ সালাম, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল প্রধানসহ নেতৃবৃন্দ।

RSS
Follow by Email