রাজনৈতিক নেতাদের মাসুদুজ্জামান ‘দুর্নীতিকে জিরো টলারেন্সে নিয়ে আসুন’
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ‘নারায়ণগঞ্জ অতীতে সারা বাংলাদেশ কাপিয়েছে। এক সময়ে ন্যাশনাল টিমে নারায়ণগঞ্জের খেলোয়ার থাকতই। বিভিন্ন ক্লাব যেমন, আবাহনি মহামেডানের মতো ক্লাবগুলোতে গেলেই নারায়ণগঞ্জের দুই চার জন খেলোয়ার থাকতো। আমরা গর্ব করে আবাহনি, মহামেডানের প্র্যাকটিস দেখার জন্য ভিড় করতাম। দেখতে চাইতাম এমিলি ভাই কখন বের হবেন। খেলার প্রতি দুর্বলতা ছিল, তাই খাওয়া দাওয়া বাদ দিয়ে খেলা দেখতাম, নিজেও খেলতাম। যদিও আমার প্রফেসন ব্যবসা, এর মাধ্যমে আমি জীবন যাপন করি। কিন্তু, আমার অন্তর খেলার মাঠে থাকে।’
সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে ফতুল্লার ইসদাইরে পৌর ওসমানী স্টেডিয়ামে চব্বিশের স্মৃতি একাডেমি কাপ অনূর্ধ্ব ১৩ ফুটবল টুর্নামেন্ট‘র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ও বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক মো. মাসুদুজ্জামান। সাবেক জাতীয় ফুটবলার ও টুনার্মেন্ট কমিটির আহ্বায়ক সম্রাট হোসেন এমিলি টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন ফুটবল কোচ ও টুর্নামেন্ট কমিটির সদস্য সচিব খলিলুর রহমান দোলন। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ও বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক মো. মাসুদুজ্জামান।
নারায়ণগঞ্জের সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের প্রতি মাসুদুজ্জামান বলেন, নারায়ণগঞ্জে ক্রীড়া জগতসহ বিভিন্ন সংগঠন মুখ থুবড়ে পড়েছিল। প্রায় ষোল বছর থেকে এক জায়গা থেকে কথা বলা হতো, অন্য কেউ কিছু বলার সুযোগ পেতেন না। আমাদের কথা বলার কোন সুযোগ করে দেননি। নারায়ণগঞ্জে রাজনৈতিক জগতের যারাই আছেন তাদের বলতে চাই, আপনারা দুর্নীতিকে জিরো টলারেন্সে নিয়ে আসুন। আমাদের দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হবে। সুস্থ ধারায় ফিরতে হলে ক্রীড়া জগতকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে হবে। আপনারা যারা রাজনীতি করেন, পরিষ্কার রাজনীতি করার আহ্বান জানাবো। যাার ক্রীড়া সংগঠক আছেন, আপনারা ক্রীড়া জগত সুস্থ করে তুলতে কাজ করেন। শিশু-কিশোররা যাতে বিপথগামী না হয়, আমরা সবাই কাজ করবো। কোনভাবেই আমার-আপনার সন্তানকে বিপথগামী হতে দিব না।
তিনি বলেন, সমাজটা আসলে পচে গেছে। এই আবস্থা থেকে ফিরে আসতে আমাদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। এই দেশ-সমাজ আমার, আপনার, আমাদের সবার। তাই আসুন ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি। আজকের নতুন বাংলাদেশ ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে অর্জন হয়েছে। এই আন্দোলনে অনেকেই নিজের রক্ত ঝরিয়েছেন, তাদের সকলের প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। আন্দোলনে আহত হয়ে অনেকেই বিভিন্ন চিকিৎসাকেন্দ্রে আছেন। অতি দ্রুত চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হতে পারেন সেই কামনা করছি।