রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির চক্রান্ত চলছে: সাখাওয়াত
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, জুলাই বিপ্লবের চেতনা আমাদের ধরে রাখতে হবে, কিন্তু এই জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে ভূলণ্ঠিত করার জন্য ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। জুলাই বিপ্লবে যে সকল শক্তি এবং রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ ছিল তাদের নিজেদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির জন্য চক্রান্ত চলছে। রাজনৈতিক দলগুলো একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে কাদা ছড়াছড়ির কারণেই ফ্যাসিস্টরা জনগণকে চোখ রাঙানি দিচ্ছে। গোপালগঞ্জে এ ফ্যাসিস্টের লোকরা যে চোখ রাঙানি দিয়েছে সেগুলো আমাদের অনেকের মধ্যেই একটি ফসল।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকেলে চাষাড়া শহীদ মিনারে জুলাই আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। মহানগর ছাত্রদলের আয়োজিত এই সভায় বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিএনপি নেতা কর্মীরা সকলকে নিয়ে বাংলাদেশ গড়তে চাই। এই জুলাই বিপ্লবের আগেও আমাদের নেতা তারেক রহমান ঘোষণা দিয়েছিলেন, যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় এবং বিএনপি অধিক আসন নিয়ে নির্বাচিত হয় তবুও বিএনপি একা সরকার গঠন করবে না। গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আমরা যাদের সাথে নিয়ে করেছি, তাদের সকলকে সাথে নিয়েই সরকার গঠন করব। ফ্যাসিস্ট্যাদের নির্মূল করা কোন একটি দলের একার কাজ না। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ না হই তাহলে গোপালগঞ্জের মত কোথাও ওই ফ্যাসিস্ট্রেট দোসরা মাথা ছাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না।
সাখাওয়াত আরও বলেন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। দেশের সকল আন্দোলনে ছাত্রদল বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছেন। আমরা দেখছি বাংলাদেশের একমাত্র দল জাতীয়তাবাদী বিএনপির নেতাকর্মীরা সব থেকে বেশি জীবন দিয়েছে। জুলাই বিপ্লবের বিএনপি’র ৪২২ জন নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মী পঙ্গুত্ত বরণ করেছে। এই জুলাই শহীদদের স্বপ্ন ছিল দেশের মানুষের ভোট অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশের সাংগঠনিক অর্গানগুলোকে যেভাবে নষ্ট করে দিয়েছিল আমরা সেগুলোকে সুস্থ ভাবে সংস্কার করতে চাই। ২০২৩ সালের ৩১ শে সেপ্টেম্বর তারেক রহমান বাংলাদেশকে সংস্কার করার জন্য ৩১ দফা উপস্থাপন করেছে। বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক আধুনিক রাষ্ট্রে রূপান্তর করার জন্য যে এই জিনিসগুলো থাকা দরকার সেই সবগুলোই সে ৩১ দফায় আছে।