বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৫
Led04ফতুল্লা

রহস্য উন্মোচন করলো পিবিআই ‘শ্যালিকার সাথে পরকীয়ার জেরে স্ত্রীকে খুন’

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: প্রায় এক বছর আগে ফতুল্লায় সংঘটিত চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ সুমা আক্তার (৩০) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী এবং ঘাতক স্বামী মোঃ শহীদুল্লাহ (৩৮)-কে অবশেষে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরকীয়ার সম্পর্ককে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে নিজ স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করার পর তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।

পিবিআই সূত্র অনুযায়ী, গত ৭ নভেম্বর ২০২৩ সালে দুপুর ১২টায় ফতুল্লা কাঠেরপুল কুতুবআইল এলাকার আনিসুর রহমান বোসুর টিনশেড বাড়িতে ভাড়াটিয়া বাসায় গৃহবধূ সুমা আক্তারকে (৩০) পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর নিহতের বোন মোছাঃ সাজেদা খাতুন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীর বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় (মামলা নং-১৬, তাং-০৮/১১/২০২৩ খ্রিঃ) মামলা দায়ের করেন। হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য অজ্ঞাত থাকায় মামলাটি দীর্ঘ সময় ধরে তদন্তাধীন ছিল। দীর্ঘ তদন্তের পর গত ১৪ আগস্ট ২০২৪ সালে তারিখে মামলাটি পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলায় হস্তান্তর করা হয়। পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিঃ) মো. রিয়াজ উদ্দিন রনি তথ্য প্রযুক্তির বিশ্লেষণ এবং গোপন তদন্তের মাধ্যমে নিশ্চিত হন যে এই হত্যাকাণ্ডে ভিকটিমের স্বামীই জড়িত।

তাঁর নেতৃত্বে পিবিআই টিম বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) গভীর রাত অনুমান আড়াইটায় ফতুল্লা কাঠেরপুল কুতুবআইল এলাকা থেকে মূল আসামী মো. শহীদুল্লাহ-কে গ্রেপ্তার করে। গ্রেফতারের পর মো. শহীদুল্লাহকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি স্ত্রীকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেন। প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে আসে এক ভয়ঙ্কর তথ্য।

পিবিআই জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ শহীদুল্লাহ-এর সাথে তার শ্যালিকা সোহানা আক্তার (২৮)-এর পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এই পরকীয়ার জের ধরে দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হয়। সেই কলহের কারণেই শহীদুল্লাহ ক্ষিপ্ত হয়ে তার স্ত্রী সুমা আক্তারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামী মোঃ শহীদুল্লাহকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়। সেখানে তিনি তার স্ত্রী সুমা আক্তারকে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যা করেছেন মর্মে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

পিবিআই জানিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডে মোট জড়িত ব্যক্তির সংখ্যা দু’জন বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। বর্তমানে এই ঘটনায় তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

RSS
Follow by Email