রশিদ-সানু-শান্তাকে সমর্থনে একজোট জাপা-আ.লীগ
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এ নিয়ে বন্দরে উৎসবের আমেজ তৈরী হয়েছে। বন্দরবাসীকে কাছে টানতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। গণসংযোগ, উঠান বৈঠক, মতবিনিময় সভার মাধ্যমে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। ইতোমধ্যে পছন্দের প্রার্থীদের সমর্থন দিয়ে একজোট হয়েছে জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগ, যা পুরো নারায়ণগঞ্জে সমালোচনার ঝড় তুলেছে।
বন্দর উপজেলা নির্বাচনে ৩ টি পদে লড়াই করছেন ৯ জন প্রার্থী। চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এমএ রশিদ, বিএনপির বহিস্কৃত নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল জাতীয় পার্টির নেতা ও মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী রয়েছেন উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সানাউল্লাহ সানু, মো. আলমগীর হোসেন, মোশাঈদ রহমান ও শাহিদুল ইসলাম জুয়েল। নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী রয়েছেন বর্তমান নারী ভাইস চেয়ারম্যান ছালিমা হোসেন শান্তা ও মাহমুদা আক্তার।
চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে এমএ রশিদ ও সানাউল্লাহ সানুকে বহু আগেই সমর্থন দিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান। বিভিন্ন মত বিনিময় সভায় উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে রশিদ ও সানুর কথা বলেছেন। ৩০ মার্চ ধামগড় মাঠে জনপ্রতিনিধি আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দের সাথে উন্নয়ণ মূলক মতবিনিময় সভায় এমপি সেলিম ওসমান বলেন, আমি পুরনোদের সর্মথন দিবো। রশিদ ভাই আর সানু। উনাদের দিলে আমার কাজ করতে সুবিধা হবে। একটা সংসার যদি ভেঙ্গে সেটা জোরা লাগানো অনেক কষ্ট। আমার ৫টা চেয়ারম্যান আমার ৫টা সন্তানের মতো।
জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এপ্রিলের শুরু থেকেই এমএ রশিদের পক্ষে মাঠ পর্যায়ে প্রচারণা শুরু করেন। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে নির্বাচনী প্রচারণা পুরো দমে চলতে শুরু করে। এদিকে, ৩ মে উপজেলা নির্বাচনে ৩ প্রার্থীর প্রতি সমর্থন ঘোষণা করে জাতীয় পার্টি। দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা ঘোষণা দিয়ে বলেন, দলের নেতৃবৃন্দের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আমরা এম এ রশিদ সাহেবকে সমর্থন করবো এবং তাকে জয়ী করে ঘরে ফিরবো। এছাড়া, ভাইস চেয়ারম্যান পদে সানাউল্লাহ সান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছালিমা হোসেন শান্তা কে নির্বাচিত করব। তার এ ঘোষণায় একমত পোষণ করেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও। এরপর থেকেই পছন্দের প্রার্থীদের পক্ষে নির্বাচনী মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তবে কে নির্বাচনে জয়ী হবেন তা প্রকাশ হবে ভোটের দিন।