রমজানে নগরীতে স্বস্তির নি:শ্বাস: রোজাদারদের দোয়ায় সেলিম ওসমান
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: রমজানের শুরু থেকেই স্বস্তিতে দিন কাটাচ্ছে নগরবাসী। সড়কে ট্রাফিক সিগন্যাল মেনে চলাচল করছে যানবাহন, ফুটপাথে নেই কোন হকার। গন্তব্যে পৌঁছাতে বাড়তি কোন কষ্ট হচ্ছে না সাধারণ মানুষের। সড়ক যানজটমুক্ত হওয়ায় রোজাদারদের ভোগান্তির মাত্রাও অনেকটা কমে এসেছে। এর জন্য জনপ্রতিনিধি-প্রশাসন পুরো জেলায় প্রশংসার পাত্র হয়ে উঠেছেন। ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে নগর সমস্যা সমাধানে এনসিসি মেয়র, দুই এমপি ও প্রশাসন একাট্টা হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। যার জন্য সড়কে চলাচল করা সহজ হয়েছে। কিন্তু আজকের এ দৃশ্য বাস্তবায়িত হওয়ার নেপথ্যে রয়েছে এক সমাজ সেবকের দীর্ঘ দিনের প্রচেষ্টা।
যার বহু বছরের প্রচেষ্টায় নগরবাসীর কষ্ট ঘুচিয়েছে, তিনি হলেন একেএম সেলিম ওসমান: বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও নারায়ণগঞ্জ-৫ অসনের সংসদ সদস্য। গত ৩ ফেব্রুয়ারি প্রেস ক্লাব ভবনে হকার ও যানজট নিরসনে গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। বৈঠকটি নগরবাসীর কাছে যতটুকু না চমকপ্রদ ছিল, তার চেয়ে বেশি অবাক করা বিষয় ছিল শামীম-আইভীর ঐক্য। নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তর বলয় ও দক্ষিণ বলয় হিসেবে খ্যাত সংসদ শামীম ওসামন ও এনসিসি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী। মতের অমিল হওয়ায় তারা যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কোন কাজ করবে তা প্রত্যেক মানুষের কাছে অভাবনীয়। কিন্তু এই দুইজনকে নগরবাসীর জন্য এক করতে সক্ষম হয়েছেন এমপি সেলিম ওসমান। বহু বছরের চেষ্টায়, ফোনালাপ-মিটিং এর মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জের দুই সুনামধন্য রাজনীতিবিদ-জনপ্রতিনিধিকে এক করতে পেরেছেন তিনি। আর তাই প্রেস ক্লাবের সেই গোল টেবিল বৈঠকে এমপি সেলিম, এমপি শামীম, মেয়র আইভী বলেছিলেন, ‘সড়ককে হকার ও যানজট মুক্ত করতেই হবে’।
যেমন কথা তেমন কাজ। পরদিন থেকেই সড়কে পরিবর্তন দেখতে শুরু করে নগরবাসী। বঙ্গবন্ধু সড়ক, মীর জুমলা সড়ক, শায়েস্তা খাঁ সড়কসহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট থেকে হকার ও অবৈধ বাস-সিএনজি স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করা হয়। একইসময়ে আন্দোলন, বিক্ষোভ শুরু করে হকাররা। তারা পুনর্বাসন কিংবা রাস্তায় অল্প সময় বসার জন্য জনপ্রতিনিধি-প্রশাসনের কাছে বার বার দ্বারস্থ হতে থাকেন। এর মধ্যে বেশ কয়বার এমপি সেলিম ওসমানের সাথে বসা হয় তাদের। সেলিম ওসমান প্রত্যেকবারই সমঝোতার চেষ্টা করেছেন। সেই সাথে হকারদের আয়ের ব্যবস্থাও করার চেষ্টা করেছেন।
শেষমেষ তার দেওয়া শর্তেই চাষাঢ়া মাধবী প্লাজার সামনে থেকে মেট্রো হল পর্যন্ত বসার সুযোগ পায় হকাররা। এদিকে, রমজানে যানজট নিয়ন্ত্রণে ৪৫ লাখ টাকা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন সেলিম ওসামন। মূলত, নগরীর যানজট-হকার মুক্ত পরিবেশ তৈরী ও নগর সমস্যা সমাধানে প্রশাসন-জনপ্রতিনিধিদের একত্রিত করার নেপথ্যে রয়েছেন এমপি সেলিম ওসমান।
রমজানে রোজাদারদের একটি মনোরম পরিবেশ উপহার দিয়েছেন তিনি। আর এ বিষয়টি নগরবাসীর কাছে বেশ স্পষ্ট। তাই তারা শঙ্কায়, কতদিন পর্যন্ত নগরী এমন সুশৃঙ্খল থাকবে। কেননা যার হাত ধরে নগর সমস্যা দূর হয়েছে, সেই সেলিম ওসমান এখন বেশ অসুস্থ। উন্নত চিকিৎসার জন্য বর্তমানে ব্যাংককে অবস্থান করছেন। তার সুস্বাস্থ্য কামনায় মসজিদে মসজিদে দোয়া হচ্ছে। ঘরে ঘরে রোজাদাররা তার দীর্ঘ আয়ুর জন্য দোয়া করছেন। পবিত্র এ মাসে প্রত্যেকের দোয়ায় আছেন সমাজ সেবক সেলিম ওসমান।