যোগাযোগে ঘাটতি থাকায় না.গঞ্জে বেশকিছু কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ
#যে যে ব্যবস্থা গ্রহন করা প্রয়োজন, সেটাই করেছি: এসপি
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে নারায়ণগঞ্জে পাঁচটি আসনের মধ্যে নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগসহ অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে সংঘাত, পোষ্টার ছিড়ে পুড়িয়ে ফেলা থেকে শুরু করে ভাঙ্গচুরসহ নানান তথ্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এই সংঘাতের পেছনে রয়েছে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করে জয়লাভের চেষ্টা, প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে আর্থিক ও পেশিশক্তির ব্যবহার এবং অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে কোণঠাসা করে রাখার চেষ্টা।
এদিকে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জে ৭৮২ কেন্দ্রে কিছু কেন্দ্রের মধ্যে যোগাযোগের ঘাটতি থাকলেও আশঙ্কা করছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। এসব এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ এসব তথ্য জানিয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ বলা তখন, যখন একটা ভোট কেন্দ্রে পক্ষ প্রতিপক্ষ মারামরি করতে পারে, আক্রমণ করতে পারে বা একজন আরেকজনের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করতে পারে। সেক্ষেত্রে সব কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ কিন্তু আইন শৃঙ্খলাবাহিনী ভূমিকা রাখলে কোন কিছুই ঝুঁকিপূর্ণ না। ঘটনা তো আর বলে আসে না, সেটা যে কোন সময় ঘটতে পারে। তবে সেই ঘটনা আমরা কত দ্রুততম সময়ের মধ্যে রেসপন্স করে ট্যাগেল করবো, কত পরিমান ক্ষয়ক্ষতির পরিমান কম হবে সেটার উপর মূলত ডিপেন্ড করে যে আমরা রেসপন্স করছি কি করছি না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নারায়ণগঞ্জে যে ৭৮২টি ভোট কেন্দ্র আছে প্রাথমিক ভাবে আমরা এই ধরণের কোন শঙ্কা করছি না যে, কেউ কেন্দ্র দখল করবে বা অন্য কিছু করবে। আশা করি কেউ এই ধরণের কাজ করবে না, করলে আমরা তাদের আইনের আওতায় আনবো। সেইদিক থেকে আমাদের নারায়ণগঞ্জে কোন ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র নেই।
এসপি বলেন, আরেকভাবে দেখলে আমরা বলতে পারি, যেমন আড়াইহাজারের কালাপাহাড়িয়া, সদর উপজেলার আলীরটেক ও বক্তাবলি ইউনিয়ন পরিষদ এবং সোনারগাঁ’র কিছু কিছু কেন্দ্র আছে যেখানে যোগাযোগে অনেকটা টাইম লাগে। ওইদিক থেকে চিন্তা করতে গেলে তো কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ থাকে। এর জন্য আমাদের যে যে ব্যবস্থা গ্রহন করা প্রয়োজন আমরা সেটাই করেছি।