সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪
অন্যান্যবিনোদন

যে ৫ টক ফল আপনাকে শীতে সুস্থ রাখবে

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: হিমেল হাওয়ার শীত মানেই হরেক রকম ফলের বাহার। খেজুরের রস, পিঠা-পায়েশ যেন শীতের কনকনে ঠাণ্ডাকেও মিষ্টি করে তোলে। এর সাথে শীতে নিজের শরীলকে সুস্থ রাখার জন্য খেতে পারেন নানান ফল। কিন্ত ফলের মধ্যেই যে সব ফলে ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ থাকে বরাবরই সেই সব ফল আপনার ত্বক এবং স্বাস্থের জন্য উপকারি। এর মধ্যে কয়েকটি ফল বেশ লোভনীয়। দেখলেই জিবে সুড়ুৎ করে জল আসে। যেমন কুল বা বরই। আরও আছে পেয়ারা। ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ এসব ফল শীতে খসখসে হয়ে যাওয়া ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। আর তাই সুযোগমতো এসব ফল খেতে ভুলবেন না। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাইরে থেকে যত্নের পাশাপাশি চাই ভেতর থেকে সুস্থতা। শীতে কিছু ফল আপনাকে সজীবতা ও সুস্থতা দেবে। শরীরে ফাইবার বা আঁশের ঘাটতি মেটাতে ও ভিটামিন ‘সি’র জোগান দিতে শীতের সময় বেশি করে টকজাতীয় ফল খেতে পারেন। আসুন জেনে নিন এ মৌসুমের দারুণ পাঁচটি টক ফল ও এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে:

বরই: হজমের জন্য এই ফল ভালো। এটি ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট-সমৃদ্ধ। ফ্লু, হাঁপানি, কোলন ক্যানসার ও বাতের ব্যথা সারাতে বরই বেশ উপকারী। বারডেম জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টি ও পথ্যবিদ শামছুন্নাহার নাহিদের তথ্য অনুযায়ী, বরইয়ে ভিটামিন ‘এ’, ‘সি’, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামসহ আছে নানা কিছু। রোগ প্রতিরোধে যেমন ভূমিকা রাখে, অন্যদিকে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয়। বরই সবার জন্য ভালো হলেও ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য কিন্তু না। পাকা বরইয়ে চিনি থাকে, তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের পাকা বরই না খাওয়াই ভালো।

পেয়ারা: শীতকালেও আপনি বাজারে পেয়ারা পাবেন। স্বাদ, পুষ্টিগুণ আর স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রাখলে পেয়ারা খেলে প্রচুর লাভ। স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পেয়ারা রাখা যেতে পারে। এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ‘সি’ ও লাইকোপেন, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই দরকারি। পেয়ারার বিশেষ পাঁচটি গুণের মধ্যে রয়েছে এটি ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, চোখের জন্য ভালো, পেটের জন্য উপকারী আর ক্যানসার প্রতিরোধী। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ পাওয়া যায়, যা কমলালেবুর চেয়েও কয়েক গুণ বেশি। পেয়ারায় আছে ভিটামিন ‘এ’ এবং ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স। এতে আছে যথেষ্ট পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ফলিক অ্যাসিড ও নিকোট্রিন অ্যাসিড। বয়সের সঙ্গে জড়িত নানা রোগ, যেমন: স্মৃতিভ্রংশ (আলঝেইমার), চোখে ছানি, আরথ্রাইটিস বা হাঁটুব্যথা প্রতিরোধে সহায়তা করে।

কমলা: পুষ্টিবিদ আখতারুন নাহারের তথ্য অনুযায়ী, বিটা ক্যারোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে কমলায়। এটি হজমশক্তি বাড়ায়, সর্দি-কাশি সারায়, মানসিক অবসাদ দূর করে। জ্বর ও ফ্লুর সময় কমলা খাওয়া ভালো। কোয়ার পাতলা ত্বকে আঁশ আছে বলে কোষ্ঠকাঠিন্যও কমাবে। কমলার রসে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ ও ক্যালসিয়াম আছে। রক্তশূন্যতা ও জিবের ঘা সারাতেও কমলা উপকারী।

জলপাই: শীতে প্রচুর জলপাই ওঠে বাজারে। এতে আছে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’, ‘ই’, লৌহ ও অসম্পৃক্ত চর্বি। ফলে এটি স্থূলতা কমায়, শরীরে উপকারী চর্বি বাড়ায়। বাতের ব্যথা, হাঁপানি উপশমে জলপাই কার্যকর। এই ফলের তেল বা অলিভ অয়েল হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারী। হৃদ্‌রোগ ও কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে এই ভোজ্য অলিভ অয়েল বিশেষ ভূমিকা রাখে।

আমলকী: ভিটামিন ‘সি’তে ভরপুর আমলকী খেলে দাঁত, চুল, ত্বক ভালো থাকে। এটি খাওয়ার রুচি বাড়ায়। এ ছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য, মাথাব্যথা, অম্ল, রক্তাল্পতা, বমিভাব দূর করতে সাহায্য করে। কমলার তুলনায় আমলকীতে ২০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ আছে।

RSS
Follow by Email