যেকোনো মূল্যেই ফতুল্লাকে সিটি কর্পোরেশন করে ছাড়বো: গিয়াসউদ্দিন
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ঘোষণা দিয়েছেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে ফতুল্লাকে অবশ্যই সংযুক্ত করা হবে। তিনি বলেন, যেকোনো মূল্যেই আমি ফতুল্লা থানাকে সিটি কর্পোরেশন করে ছাড়ব, এজন্য শুধু জনগণের সমর্থন প্রয়োজন।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ড বিএনপি আয়োজিত পথসভা ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গিয়াস উদ্দিন বলেন, ফতুল্লা থানাকে সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত করার লক্ষ্যে তিনি মন্ত্রণালয় ও নারায়ণগঞ্জ প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছেন। তিনি যুক্তি দেখান যে, ইউনিয়ন পরিষদের দ্বারা কখনোই থানা বা এলাকার উন্নয়ন করা সম্ভব হবে না।
সাবেক এমপি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকায় সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, “বিগত সময়ে চেয়ারম্যান-মেম্বাররা ফতুল্লাকে পৌরসভা করতে দেয় নাই। এখনও যে তারা ফতুল্লাকে সিটি কর্পোরেশন করতে দিবে তা আমি বিশ্বাস করিনা।”
তিনি অভিযোগ করেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে কলঙ্কিত নির্বাচনে যারা চেয়ারে বসে আছে, তারা নিজেদের উদরপূর্তি করতে চায়, জনগণের চিন্তা করে না।
গিয়াস উদ্দিন দুর্নীতিবাজ জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের আহ্বান জানিয়ে বলেন, কোনো চেয়ারম্যান/মেম্বার অপকর্ম করলে কিংবা জনগণের বিরুদ্ধে কাজ করলে তাদেরকে সমাজ থেকে বিচ্যুতি করতে হবে এবং এই দুর্নীতির বিপক্ষে তাদেরকে ‘রাজাকার’ হিসাবে চিহ্নিত করতে হবে।
তিনি চেয়ারম্যান এবং মেম্বাররা অনুদান থেকে জনগণের জন্য কতটা ব্যয় করেন, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন। তাই ফতুল্লা থানাধীন সমস্ত এলাকার উন্নয়ন ঘটানোর লক্ষ্যে সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি পূরণে তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
কুতুবপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলীম উদ্দিন খন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সুলতান মাহমুদ মোল্লা, সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার মনিরুল ইসলাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম সহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
