যুবকদের প্রতি শামীম ওসমান ‘শেখ হাসিনাকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান’
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বোম ব্লাস্ট হয়েছিল এই নারায়ণগঞ্জে। আরডিএক্স দিয়ে আমাকে মারার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু আল্লাহ আমার মৃত্যু চান নি বলে বেঁচে গেছি। ওই দিন আমার ২০ জন ভাই-বোন মারা গেছেন। মানুষের রক্ত যে গরম হয়ে টগবগ করে তা সেদিন দেখেছি। তাওয়ায় তেল গরম হলে যেমন টগবগ করে ঠিক তেমনই রক্ত টগবগ করেছিল। এ দৃশ্য আমি এখনও ভুলি নাই। ২০০১ সালে সেই বোম ব্লাস্ট হয়েছিল। আমার অপরাধ কি, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে আমি কথা বলেছি, পতিতাপল্লি আমি বন্ধ করেছি। পতিতাপল্লির নেতারা যে খালেদা জিয়াকে উপধোকন পাঠিয়েছিল তার ছবি আমি পার্লামেন্টে দেখিয়েছি। ওরা আমাকে বলেছিল, তোকে দেখে নেব। ওরা যে আমাকে এভাবে দেখে নেবে তা আমি চিন্তাও করি নাই।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ৩টায় সিদ্ধিরগঞ্জে ১ নং ওয়ার্ডে সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকায় এক উঠার বৈঠকে এসব কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। উঠান বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ মজিবুর রহমান।
শামীম ওসমান বলেন, জাতির পিতা ও তার কন্যার মধ্যে তফাত আছে। জাতির পিতা সবাইকে বিশ্বাস করেছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, হ্যা, আমার সাথে যারা আছেন তারা সবেইকে বাংলাদেশকে ভালোবাসে। তারা দেশের জন্য কাজ করতে চায়। এই বিশ্বাস তার মনে গাঁথা ছিল। তাই কেউ তার ক্ষতি করতে চাচ্ছে বলার পরও সে কথা বিশ্বাস করতে চান নাই। কোন পিতা কি বিশ্বাস করতে চাইবে, তার সন্তান তাকে হত্যা করতে চাইছে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মানুষদের তার পরিবার, তার সন্তান হিসেবে দেখেছেন।
তিনি বলেন, বোমা হামলার পর যখন আমাকে জিজ্ঞাস করা হয়েছিল আপনি কিছু বলবেন, আমি বলেছি শেখ হাসিনাকে বাঁচান। আজ আমি আমার মা-বোনদের, মুরুব্বিদের, যুবকদের বলতে চাই শেখ হাসিনাকে বাঁচান, এ দেশটাকে বাঁচান। বাহিরের অশুভ শক্তি এ দেশের উপর নজর দিয়েছে। আমাদের মন্ত্রী দেশটাকে এগিয়ে নিতে যেভাবে কাজ করছেন, এটা তাদের কাছে বিরাট বাধা। এরা দেশের মাটি দখল করতে চায়, মানুষদের জীবন কেড়ে নিতে চায়। আমাদের এই শক্তির বিরুদ্ধে এক হতে হবে। আমি কর্মী থাকতে পছন্দ করি। আমাকে ঢাকায় ডাকা হয় মঞ্চে উঠার জন্য। কিন্তু আমার মঞ্চে উঠে কথা বলার চাইতে রাস্তায় স্লোগান দিতে বেশি ভালো লাগে। আমি কর্মী হয়ে জনগণের সাথে কথা বলতে পছন্দ করি।