মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগে ছাত্রলীগের বহিস্কৃত দুই নেতা গ্রেপ্তার
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে ২৮৩ পিস বিভিন্ন ব্রান্ডের মোবাইল ও ১০ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে ছাত্রলীগের বহিস্কৃত দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে সোনারগাঁ থানা পুলিশ।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগড়াপাড়ায় মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনায় রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে রয়েল রিসোর্টের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নারায়ণগঞ্জ ছাত্রলীগের সোনারগাঁ পৌরসভা শাখার বহিস্কৃত সভাপতি, সোনারগাঁয়ের দিঘীরপাড়ের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে মাহবুবুর রহমান রবিন ও নারায়ণগঞ্জ ছাত্রলীগের সোনারগাঁ পৌরসভা শাখার বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক ও সোনারগাঁয়ের গোয়ালদীর নাসির উদ্দিনের ছেলে শাহারিয়ার হাসান খাঁন সাজু।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সোনারগাঁ থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মাহাবুব আলম লাইভ নারায়ণগঞ্জকে জানান, ছিনতাই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২৫ সেপ্টেম্বর আদালতে প্রেরণ করা হয়।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল সোয়া ১০টার দিকে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগরাপাড়া স্ট্যান্ডের ঢাকাগামী সড়কে র্যাব পরিচয়ে কুমিল্লার কোতয়ালী থানার ৩০ বছর বয়সী মো. সুমনের সাথে ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করলে ২৪ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ১২টায় মামলা হিসেবে গ্রহণ করে পুলিশ। মামলা নং-৪৩/৪৩০। ভুক্তভোগীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১২টার দিকে সোনারগাঁ পৌরসভা এলাকা থেকে তাদের আটক করে সোনারগাঁ থানার উপপরিদর্শক মহিবুল্লাহ।
তিনি লাইভ নারায়ণগঞ্জকে জানান, সে ছাত্রলীগ কি না আমার জানা নেই। তবে, তার বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মোবাইল উদ্ধার না হওয়ায় ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
এর আগেও ২০১৯ সালে সোনারগাঁয়ের চৈতি কম্পোজিটের ১৬৬ বস্তা কাপড়সহ একটি ট্রাক ডাকাতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিল পৌরসভা সাধারণ সম্পাদক শাহারিয়ার হাসান খাঁন সাজু। এ ঘটনায় সে বছরের ১৮ জানুয়ারি তাকে দল থেকে বহিস্কার করেছে উপজেলা ছাত্রলীগ। এছাড়া দলীয় শৃঙ্গলা পরিপন্থী কার্যকলাপের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০২১ সালের ১১ জুলাই সোনারগাঁ পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি পদ থেকে মাহবুবুর রহমান রবিনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
তবে, স্থানীয়রা জানান, দু’জনই ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে চলাফেরা করতেন। পরিচালনা করতেন ছাত্রলীগের বিভিন্ন কার্যক্রম। তাদেরকে গ্রেপ্তারে পৌরসভা এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।