শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
Led03জেলাজুড়েরাজনীতিসদর

মেয়র খেলতে নেমেছে, আমরাও খেলতে নামবো: আব্দুল আউয়াল

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ডিআইটি মসজিদের খতিব ও জেলা হেফাজত ইসলামের সভাপতি মাওলানা আব্দুল আউয়াল বলেন, আপনি ব্যবসার কাজে তাদের জায়গা টা ভাড়া দিয়েছেন। আগে করেছিলেন পার্ক তারপর সেখানে চারুকলা এখন সেখানে পতিতা বিক্রি হওয়ার ব্যবস্থাও শুরু হয়েছে। যেহেতু এই কাজের সূচনা হয়েছে, ওনি খেলতে নেমেছে তাহলে আমরাও খেলতে নামবো। আপনার পাওয়ার নিয়ে খেলতে নামছেন, আমরা ও আল্লাহর সাহায্য নিয়ে খেলবো। হেফাজতকে সন্ত্রাসী বলে আমাদের অবজ্ঞা করছেন। আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের নিয়ে বার বার বসেছেন কথা বলেছেন। হেফাজত সন্ত্রাসী হলে তোমার মত আইভি রাস্তায় চলতে পারতো না। তারা সন্ত্রাসী নয়।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫ টায় ডিআইটি মসজিদের প্রাঙ্গনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন আব্দুল আউয়াল। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বসির উল্লাহ, মহানগর ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ, মহানগর উলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা ফেরদাউসুর রহমানসহ আরও অনেকে।

সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল আউয়াল আরও বলেন, আমরা সংবাদ সম্মেলন করতে বাধ্য হয়েছি। আজ থেকে ২ মাস আগে ফেব্রুয়ারির ১০ তারিখ ডিআইটি মসজিদের মুসল্লিরা নাকি সেখানে ভাংচুর করেছে। সেখানে নাকি ১৯৯৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীরা একটা অনুষ্ঠান করছিলো। আমি অন্য জায়গায় ছিলাম। আমাকে ফোন করে বলা হয়েছে যে অনুষ্ঠানের গানের আওয়াজ এত বেশি যে নামাজ পড়তে সমস্যা হচ্ছিলো। এতে খারাপ আওয়াজের কারণে মুসুল্লিরা সংঘবদ্ধ হয়ে সেখানে তারা গেছে। মাওলানা ফেরদৌসুর রহমান তখন সুনামগঞ্জে এক মাহফিলে ছিলেন। পরের দিন সিটি কর্পোরেশনের ২০ জন লোক এসে আমাদের সাথে কথা বলে গেছে। ঘটনার সময় ৯৯৯ কল দেওয়া হয়েছে। সেখানে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলো। ভাংচুরের যারা করেছে তখন তারা চলে গেলো। আমাদের একটি মুসলিম চেতনা আছে। অনেকেই নামাজ পরে না, কিন্তু ইসলামের ওপর আঘাত আসলে তারা প্রতিবাদ মুখী হতে দেরী করে না। তাদের চেষ্টায় এটা বন্ধ করা হয়েছে। আইভীর ভাই উজ্জ্বল আমাদের কিছু লোককে বলে দিয়েছেন যেন জুম্মায় এই ঘটনা নিয়ে আলোচনা না করা হয়। হঠাৎ করে কল দেখলাম ফেরদৌস কে চুরির মামলা করে ফাঁসিয়ে দিলেন। আমাদের ঘুমিয়ে রেখে ওনারা পরিকল্পনা করেছে মামলার দিয়ে আমাদের শায়েস্তা করবেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সমজিদ কমিটির এক সদস্যকে মেয়র আইভী বলেছেন, রোজার পড়ে সে মামলা করবে আর মসজিদের সামনের দোকানগুলো নাকি ভেঙে দিবে। এখানে নাকি হেফাজতের লোক লালন করি আমরা। উনি মেয়র হয়ে আমাদের কমিটির সদস্য এই কথা বলা আসলে মানায় না। উনার দোকান ভাঙার ও মামলা দেওয়ার কথা সত্যি হলো। ঘটনার দিন ফেরদৌস ছিল না। আমরা যদি পরিকল্পনা করতাম তাহলে এই চারুকলা করলে ভন্ডামি থাকতো না। শামীম ওসমানের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে আমরা নারায়ণগঞ্জ থেকে পতিতালয় উচ্ছেদ করা হয়েছে। কিন্তু এখন দেখি মিনি পতিতালয় শুরু হয়েছে। এখানে পার্কের ভিতরে এবং চারুকলারকে কেন্দ্র করে নারী পুরুষের যে অবাদে মেলামেলা শুরু হয়েছে এটা নারায়ণগঞ্জবাসী সহ্য করবে না। আমরা খবর নেব, এখানে এই বেবিচার, যেনা আর পতিতা বিক্রি হবে আমরা আমরা তার পাশেই ঘুমিয়ে থাকবো তা হতে দেবো না। আপনি ব্যবসার কাজে তাদের জায়গা টা ভাড়া দিয়েছেন। আগে করেছিলেন পার্ক তারপর সেখানে চারুকলা এখন সেখানে পতিতা বিক্রি হওয়ার ব্যবস্থাও শুরু হয়েছে। যেহেতু এই কাজের সূচনা হয়েছে, ওনি খেলতে নেমেছে তাহলে আমরাও খেলতে নামবো। আপনার পাওয়ার নিয়ে খেলতে নামছেন, আমরা ও আল্লাহর সাহায্য নিয়ে খেলবো। হেফাজতকে সন্ত্রাসী বলে আমাদের অবজ্ঞা করছেন। আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের নিয়ে বার বার বসেছেন কথা বলেছেন। হেফাজত সন্ত্রাসী হলে তোমার মত আইভি রাস্তায় চলতে পারতো না। তারা সন্ত্রাসী নয়। আমরা আমাদের জুম্মার নামাজে আপনাদের জন্য এই নারায়ণগঞ্জের বাসীর জন্য দোয়া করি।

আব্দুল আউয়াল বলেন, যদি এই জিনিসটা বাড়তে দেওয়া হয় তাহলে হেফাজতের পক্ষ থেকে বৃহৎ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে। সারা বাংলাদেশ থেকে কর্মী এনে আমরা দেখিয়ে দেব আমাদের উক্ষাৎ করা যাবে না। আমাদের উক্ষাৎ করতে চাইলে আপনি নিজেই উক্ষাৎ হয়ে যাবেন। এই মামলা উঠিয়ে নেওয়ার কথা আমরা বলব না। এই আল্লাহ ওয়ালা লোকেদের ওপর জুলুম করলে আপনার গদি তছনছ হয়ে যাবে।

আব্দুল আউয়াল আরও বলেন, ডিআইটি মসজিদ তোমার কোন মাথার ব্যাথা। তুমি নারায়ণগঞ্জে আসার অনেক আগে জণগন তিলে তিলে এই মসজিদ গড়েছে। এখানে হাজার হাজার মুসল্লি আছে। আমাদের আকিদা নিয়ে আমরা থাকবো, তোমার আকিদা নিয়ে তোমরা থাকো। আমাদের আকিদা বিশ্বাস নিয়ে তুমি কেন টানাটানি করছো? আমার মিলাদ করি না কারণ আজ পর্যন্ত কোন্ ওলামা একরাম এর প্রমান করতে পারে নাই। আমরা না করলে তোমার কি? তুমি চাচ্ছো মসজিদগুলো দখল করে তোমার বেদাতী মৌলবিদের আস্তানা গড়ে দেওয়ার চেষ্টা করছো। মামলা আমরাও করবো, কোর্ট তোমার বাবার না এটা জণগনের। আমাদের লোকেদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার জন্য তোমার বিরুদ্ধে মামলা করবো। পৌরসভার কোটি কোটি টাকা চুরি করা হচ্ছে। তোমরা চুরি করে আমাদের চোর বলছো। ওলামাদের বিরুদ্ধে জুলুম করলে আল্লাহ তোমার আইভীর ক্ষমতা টিকিয়ে রাখবে না। তোমরা চোখ রাঙ্গা করলে আমিও করব। যাদের সহযোগিতা করার করো আমাদের নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই।

হুশিয়ারী উচ্চারন করে তিনি বলেন, আজ এই দোকান বা জায়গার যে টাকা আসছে সেগুলো আমার বা কমিটির পকেটে যাচ্ছে না। মসজিদের উন্নয়নের কাজে লাগছে। চাইলে আমাদের হিসাব দেখতে পারেন। মসজিদের জায়গা ভাঙতে আসলে লাশ পড়ে যাবে। ঘুঘু দেখেছো, ফাদ দেখো নাই। তুমি তোমার কাজ করছো, আমাদের আমার কাজ করতে দাও। ঘাড়ে চেপে বসলে, আমরা জীবন থাকতে তোমাদের ছেড়ে দেবো না। প্রয়োজনে আমরা আরও বৃহত সম্মেলনের ডাক দেবো।

RSS
Follow by Email