মঙ্গলবার, মে ২০, ২০২৫
Led01বিশেষ প্রতিবেদন

মেঘে ঢাকা না.গঞ্জ: তাপমাত্রা কমলেও হঠাৎ ভোগান্তির মুখে নগরবাসী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: দু’দিন ধরে ঝরছে বৃষ্টি, আর তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুর ১টা থেকে নারায়ণগঞ্জ শহরও ঢেকে গেছে কালো মেঘের চাদরে। ঝিরিঝিরি থেকে শুরু হয়ে থেমে থেমে চলা এই বৃষ্টিতে অনেকটাই কমেছে নগরীর তাপমাত্রা, কিন্তু বাড়ছে জনদুর্ভোগ। বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষ ও পথচারীরা পড়েছেন চরম বেকায়দায়।

অপ্রত্যাশিত বৃষ্টির আঘাত: হঠাৎ ভোগান্তির মুখে নারায়ণগঞ্জ
সকাল থেকে রোদ ঝলমলে আবহাওয়া ছিল নারায়ণগঞ্জে। কর্মজীবী মানুষ ও পথচারীরা তাই ছাতা বা রেইনকোট নিয়ে বের হওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি। কিন্তু দুপুর ১টার পর হঠাৎ করেই আকাশ ভেঙে নামে বৃষ্টি। গুঁড়ি গুঁড়ি থেকে শুরু হয়ে এই বৃষ্টি এখন থেমে থেমে পড়ছে, যা নগরীর স্বাভাবিক গতি অনেকটাই শ্লথ করে দিয়েছে।

আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, “এখন যে বৃষ্টি হচ্ছে, এটা বিচ্ছিন্নভাবে এবং থেমে থেমে। এতে তাপমাত্রা অনেকটা কমেছে।এখন যেহেতু কালবৈশাখীর মৌসুম, তাই আগামীকালও কম-বেশি বৃষ্টিপাত থাকতে পারে। তবে কাল তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।”

শ্রমজীবী ও পথচারীদের হাহাকার
টানা বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। রিকশাচালক, ভ্যানচালক, দিনমজুর – সবারই কাজে বিঘ্ন ঘটছে। চাষাঢ়ার মোড়ে রিকশাচালক হামিদুর রহমান বলেন, “দুপুর থেকে যে শুরু হয়েছে, থামাথামি নাই। এভাবে বৃষ্টি হলে মানুষ কম বের হয়, আবার বেশিক্ষণ রিকশা চালানো যায় না। বৃষ্টি হলে যানজটও বেড়ে যায়।” তার কথায় ফুটে ওঠে বৃষ্টির কারণে তাদের দৈনন্দিন উপার্জনে কতটা প্রভাব পড়ছে।

অন্যদিকে, হঠাৎ বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েছিলেন অফিসগামী মেহেদী হাসান। তিনি জানান, “অফিস থেকে বের হয়েছি, কোন রিক্সা পাই না। বৃষ্টিতে হেঁটে হেঁটে যাওয়ারও উপায় নেই। সকাল থেকে রোদ হওয়াতে ছাতা নিয়ে বের হইনি।” এমন চিত্র নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি মোড়েই দেখা গেছে। বৃষ্টির কারণে যানবাহন চলাচলও ধীরগতিতে হচ্ছে, ফলে যানজট বাড়ছে বিভিন্ন পয়েন্টে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, দেশজুড়ে বৃষ্টি হচ্ছে, তবে সিলেট, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগে এর তীব্রতা বেশি। নারায়ণগঞ্জেও এই বৃষ্টির ধারা অব্যাহত থাকায় জনজীবনে এর প্রভাব স্পষ্ট।

RSS
Follow by Email