মুরাদনগরে ধর্ষণের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে না.গঞ্জে মানববন্ধন
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: কুমিল্লার মুরাদনগরে নারী ধর্ষণ ও নিপীড়নের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে না.গঞ্জে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সোমবার (৩০ জুন) বিকাল ৪ টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম ও জেলা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের উদ্যোগে এ কর্মসূচিতে সারাদেশে নারী শিশু ধর্ষণ নির্যাতনের বিরদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানায় নেতৃবৃন্দরা।
মানববন্ধনে জেলা সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সভাপতি নিগার সুলতানা পলির সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুন্নাহার, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের জেলার সাবেক সভাপতি মুন্নি সরদার, জেলা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নাসিমা আক্তার, সংগঠক আহাম্মেদ রবিন স্বপ্ন।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, কুমিল্লার মুরাদনগরে এক নারীকে যেভাবে নির্যাতন করে এবং ভিডিও ধারণ করে প্রচার করা হয়েছে তা কোনো সভ্য সমাজে ভাবা যায় না। ঐ নারী নিজেই বাদী হয়ে ধর্ষণের মামলা করেন। এরপর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন মিডিয়াতে বিভিন্ন ধরনের তথ্য ও অপতথ্য ছড়িয়ে পড়ে। যা নানা ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। অভিযুক্ত নারীর উপর মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে অভিযুক্তরা যাতে পাড় পেয়ে না যায় তার জন্য নারীর সার্বিক নিরাপত্তা ও আসামীদের বিষয়ে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন সারাদেশে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির এক চরম অবনতি আমরা প্রত্যক্ষ করছি। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ও মর্যাদা হুমকির মুখে। সারাদেশে গত নয় মাসে মব ভায়োলেন্সে ১৭২ জন মারা গেছেন। নারীরা চলাফেরা, পোশাক, কাজকর্ম, এমনকি ফেসবুকে স্টাটাস দিয়েও মব ভায়োলেন্সের শিকার হচ্ছে। সারাদেশে নারী ও শিশু ধর্ষণ—নির্যাতন বেড়েই চলেছে। শিক্ষা—সংস্কৃতির অবনমন, পুরুষতান্ত্রিক ক্ষমতার দাপট ও বিচারহীনতা নারী নির্যাতন বেড়ে যাওয়ার বড় কারণ। ধর্ষণের ক্ষেত্রে দেখা যায় ১০০টি মামলার ৯৭টির—ই কোন বিচার হয় না। টাকা ও ক্ষমতার দাপটে অপরাধীরা পার হয়ে যায় এবং আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। অন্যদিকে ধর্ষণের শিকার নারী বা শিশু ও তার পরিবারে আরো কোণঠাসা হয়ে পড়ে। বিচারের দীর্ঘসূত্রিতার কারণেও অনেক সময় অপরাধী পার পেয়ে যায়। সার্বিক আইন—শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। নারী বিদ্বেষী বা নারীর প্রতি নেতিবাচক ধারণা বা মনোভাবও নারী নির্যাতনকে বাড়িয়ে দেয়।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে মুরাদনগরে নারী ধর্ষণ ও নিপীড়নের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও যথাযথ বিচার দাবি করেন। ধর্ষণকারী ও যারা ঐ নারীকে নগ্ন ও নির্যাতন করে ভিডিও ধারণ করেছে তাদেরকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। নেতুবৃন্দ বলেন শুধুমাত্র গ্রেফতার করলেই হবে না তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে।