মুকুলকে বিবস্ত্রের ঘটনায় বজলুর ‘তিন গ্রামের মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ’
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: সাবেক বিএনপি নেতা আতাউর রহমান মুকুলের উপর হামলা ও লাঞ্ছনার ঘটনাটি ‘তিন গ্রামের মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ’ বলে মন্তব্য করেছেন সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি বজলুর রহমান।
রবিবার (২৯ জুন) সংবাদিকদের দেওয়া এক বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বজলুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য আসলো ছাত্র-জনতার ওপর হামলাকারী ও মোটর শ্রমিক লীগের নেতা আলাউদ্দিন এখানে (ঘটনাস্থলে) এসে বিদ্যুৎকেন্দ্রে ঢুকবে। এটা জানার পর তিন এলাকার মানুষ জড়ো হয়। এরপর সেখানে একটি গাড়ি এসে থামে। তখন দেখা যায়, আলাউদ্দিনের মেয়ের জামাই ও নাতি জামাই এসেছে, কিন্তু আলাউদ্দিন আসিনি। গাড়ির সামনে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা মুকুল বসে ছিলেন। তখন এলাকার মানুষ মুকুলকে প্রশ্ন করছে যে, সে এখানে কেন এসেছে? এবং তার সাথে আলাউদ্দিনের আত্মীয়রা কেন। জনগণকে তখন মুকুল বলেছে, আমি ভিতরে যাবো ও আলাউদ্দিনের কাজ শুরু করব। এই কথার এক পর্যায় বাক-বিতণ্ডা হয় ও ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এই ধাক্কাধাক্কিতে তার (মুকুলের) পাঞ্জাবী-পায়জামা ছিড়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, ‘আলাউদ্দিন বিগত সরকারের আমলে মানুষের ঘরবাড়িতে লুটপাট, হামলা ও বিএনপির নেতা কর্মীদের মারধর থেকে শুরু করে সকল রকমের নির্যাতন করেছে। ফ্যাসিস্টের আমলে এই নির্যাতনের কারণেই তিন গ্রামের মানুষ তার বিরুদ্ধে খুবই ক্ষিপ্ত। এই তিন গ্রামের মানুষের সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ আজ ঘটেছে।’
প্রসঙ্গত, একইদিন দুপুরে বন্দরের হরিপুর পাওয়ার প্ল্যান্টের সামনে আতাউর রহমান মুকুলের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় তাকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও মারধর করে বিবস্ত্র করে ফেলা হয়। ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পর পুলিশ আহত আতাউর রহমান মুকুলকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন।