মাসুকুল ইসলাম রাজীবকে জেনেশুনে বক্তব্য দেয়ার আহ্বান ইসলামী আন্দোলনের
প্রেস বিজ্ঞপ্তি: নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীবের বক্তব্যের সমালোচনা করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ ও সেক্রেটারি সুলতান মাহমুদ বলেছেন, ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন সম্পর্কে আরও গভীরভাবে জেনে বক্তব্য দেওয়া উচিত।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) এক বিবৃতিতে বলেন, তাদের নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, “আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই না; বরং ইসলামকে ক্ষমতায় বসাতে চাই।” তারা জোর দিয়ে বলেন, ইসলামী আন্দোলন প্রচলিত রাজনীতি করে না; বরং ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনীতিকে ইবাদত মনে করে। তারা স্মরণ করিয়ে দেন যে, মহানবী (সা.) যেমন ধর্মের প্রধান ছিলেন, তেমনি রাষ্ট্রেরও প্রধান ছিলেন। তার ওফাতের পর ধারাবাহিকভাবে সাহাবায়ে কেরাম (রা.) রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন। ইসলামী আন্দোলন সেই নীতি ও আদর্শ ধারণ করে রাজনীতি করে, যেখানে তাদের আদর্শ হলেন নবী, রাসূলগণ ও খোলাফায়ে রাশেদীন।
নেতৃদ্বয় আরও বলেন, “সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা বলি যে, যদি আপনি ইসলামী আন্দোলনকে ভোট বা সমর্থন করেন তাহলে আপনার সমর্থন যাবে নবী ও রাসূলদের সমর্থনের পক্ষে।”
তারা বিএনপি নেতাদের জিয়ার আদর্শ নিয়ে রাজনীতির সমালোচনা করে বলেন, “আপনারা জিয়ার আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করেন। আপনাদের স্লোগানই হলো ‘আমরা সবাই জিয়ার সেনা’ বা ‘মুজিব সেনা’ ইত্যাদি…। পক্ষান্তরে আমাদের স্লোগান হলো ‘আমরা সবাই রাসূল সেনা’।”
ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ চ্যালেঞ্জ করে বলেন, “ইসলামী আন্দোলনের কোনো কর্মীর নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ নেই, দখলদারি ও সন্ত্রাসীর কোনো মামলা নেই, নেই কোনো মাদকের সাথে সম্পৃক্ততা। অপরদিকে পত্রপত্রিকায় চোখ বুলালেই দেখা যায়, অমুক স্থানে, তমুক স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজিতে অমুক দলের লোক আটক।”
তারা আরও উল্লেখ করেন, “জুলাই আন্দোলনে আমাদের নায়েবে আমীর সাহেব ৪ আগস্ট ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বিশাল মিছিল নিয়ে রাজপথে আওয়ামী স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন। ইতিহাস সাক্ষী। আমাদের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। সুতরাং যারা আমাদেরকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন, তাদেরকে চিন্তা ভাবনা করে মন্তব্য করার অনুরোধ করছি।”
নেতৃদ্বয় পরিশেষে বলেন, “প্রতিহিংসার রাজনীতি আমরা করি না। আমরা সকলে মিলেমিশে একটি আধুনিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। তাই আসুন, কাদা ছোড়াছুড়ি না করে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হই। যেকোনো স্বৈরাচার উত্থান হওয়ার রাস্তা চিরতরে বন্ধ করি।”