মাদক ব্যাবসায়ী ও খুনীদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল গাজী: খোকন
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন বলেন, এই আন্দোলন জুলাইয়ে শুরু হয়নি। এই আন্দোলন শুরু হয়েছিল আরও ১৫/১৬ বছর আগে। যখন ২০১৩ সালে বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজতের অনেক নেতাকে তারা হত্যা করেছিল। সেই থেকে যত রাজনৈতিক মামলা হয়েছে সবগুলোর আসামি আমরা বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, জামায়াত, হেফাজত ও ইসলামিক দলগুলোর নেতাকর্মী। সেইসব শহীদদেরও আমি রুহের মাগফেরাত কামনা করি। আপনাদের সাথে আমি একমত। আপনারা আমার অন্তরের কথাগুলোই বলেছেন। রূপগঞ্জের উন্নয়নে সবচেয়ে বড় বাধা মাদক। গাজী গোলাম দস্তগীর মাদক ব্যাবসায়ী ও খুনীদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। আজ তারা এলাকায় ঢুকতে পারেনা, কারণ তারা চাঁদাবাজি, মাদক ও অস্ত্রের সাথে জড়িত ছিল।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রূপগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অংশ নিয়ে একথা বলেন গোলাম ফারুক খোকন।
সভায় তিনি আরও বলেন, কোন অনুপ্রবেশকারী, যারা আগে অস্ত্রের রাজনীতি করেছে, আপনারা কেউ নিজেদের শক্তিশালী করার জন্য ওদের প্রশ্রয় দিবেন না। আমি সাবধান করে দিতে চাই। আমার কাছে সকলের নাম আছে। আমি তাদের কাউকে ছাড় দেব না। আমার সাথে আন্দোলন সংগ্রাম করে থাকলেও কেউ যদি চাঁদাবাজি ও লুটপাট করে আমি ছাড় দেব না। তারেক রহমান বলেছেন এদের পুলিশে সোপর্দ করতে এবং তাদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যাবস্থা নিতে।
গোলাম ফারুক খোকন বলেন, আমরা চাই যৌথ বাহিনী সাথে নিয়ে অবিলম্বে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হোক। আমরা আপনাদের পাশে থেকে সহায়তা করবো। এখানে কোন দলীয় লোকেরা চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজিতে জড়িত ছিল না। আমরা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি।
তিনি চনপাড়ার বিষয়ে বলেন, আব্দুল মতিন চৌধুরী এই এলাকাটার নাম দিয়েছিল জিয়া নগর। আমরা এই এলাকাটাকে মাদকমুক্ত করতে চাই। ইতোমধ্যে সেখানে মাদক নির্মূলে কমিটি করা হয়েছে। ঢাকায় যত মাদক যেত, এ অঞ্চল থেকে যেত। এখানে প্রচুর অস্ত্র রয়েছে। এই অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে, নয়ত কালকে আমাদেরই এই অস্ত্র নিয়ে এরা মারতে আসবে। মাদক ও অস্ত্র বন্ধ হলে এসকল চাঁদাবাজি বন্ধ হয়ে যাবে। বিএনপি চাঁদাবাজদের জায়গা দেবে না।