মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার: আরও ১ জন গ্রেপ্তার, ৪ দিনের রিমান্ড
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: শীতলক্ষ্যা নদীতে ভেসে আসা মাথাবিহীন অজ্ঞাতনামা যুবক হাবিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গ্রেপ্তারকৃত আসামির নাম মো. রনি হোসেন (৩২)। এ নিয়ে এই চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলায় মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
পিবিআই, নারায়ণগঞ্জ জেলা জানায়, গত ২৭ আগস্ট বুধবার দুপুরে বন্দর থানাধীন শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে মাথাবিহীন একটি লাশ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। কাঁচপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ঘটনাস্থল থেকে আনুমানিক ২৮-৩০ বছর বয়সী যুবকের লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
পরদিন, ২৮ আগস্ট, পিবিআই লাশের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করে তার পরিচয় শনাক্ত করে। নিহত যুবক হাবিবুর রহমান (২৮), সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুর মধ্যপাড়ার মো. চাঁন মিয়ার ছেলে। এই ঘটনায় নিহতের মা ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি পিবিআই-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পিবিআই প্রধান অ্যাডিশনাল আইজিপি মো. মোস্তফা কামাল এবং পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলার ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাশেদের তত্ত্বাবধানে তদন্ত শুরু হয়। এর আগে, ৩০ আগস্ট এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে রনি হোসেনের সম্পৃক্ততা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়।
পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলার এসআই মো. জাহিদ হোসেন রায়হানের নেতৃত্বে একটি দল গত ২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ২টার দিকে সোনারগাঁও বাসস্ট্যান্ড থেকে চট্টগ্রামের গাড়িতে ওঠার মুহূর্তে রনি হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আদালতে সোপর্দ করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হলে আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পিবিআই-এর তদন্তে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মাদক ব্যবসা এবং এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হাবিবুরকে গলা কেটে হত্যা করে মাথা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামির একজন, গোলজারের বাড়িতে রক্তের দাগ পাওয়া গেছে এবং ভিকটিমের পরিহিত জুতাও উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে। বর্তমানে, বিচ্ছিন্ন মাথাটি উদ্ধারের জন্য এবং পলাতক অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।
পিবিআই জানিয়েছে, মামলার তদন্ত কার্যক্রম এখনো চলমান। এই হত্যাকাণ্ডে আর কে বা কারা জড়িত, সে বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে।