মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪
Led03জেলাজুড়েবন্দররাজনীতি

মাকসুদ চেয়ারম্যানকে ইঙ্গিত করে সেলিম ওসমান ‘মাইরের উপর ঔষধ নাই’

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বন্দর উপজেলার নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনের ব্যাপারে এমপি সেলিম ওসমান বলেন, উপজেলার চেয়ারম্যানের ব্যাপারে আমি বললে তো দোষ হয়ে যাবে। মেয়ে মানুষের মামলায় আজকে  তিনি ফেরারি আসামি। তাহলে আমার এলাকা কন্ট্রোল করবে কে। সুতরাং আপনাদের বলবো এই সমস্ত রাজাকার-বাটপার যাতে বন্দরে অবস্থান না নিতে পারে। এলাকায় এলাকায় আপনারা বের হন, এবং রাজাকার আলবদরদের লিস্ট করতে হবে। সরকারি ভাবে হোক বা না হোক। বন্দরে রাজাকারদের লিস্ট হবে এবং তারা এই বন্দরে বসবাস করতে পারবো না, কারণ বন্দর অনেক শান্তিপ্রিয় জায়গা।  আমাদের লজ্জা করা উচিৎ। একজন মুক্তিযোদ্ধাকে রেখে,  আমরা একটা হারামির টাকা মসজিদে মসজিদে নিয়েছেন, কিসের মুসলমান আপনারা। এগুলো হলো হারামের টাকা, এই এলাকার ছেলেপেলেদের নষ্ট করার টাকা এগুলা, নইলে টাকা কি মুড়ির মোয়া? আমরা কি নির্বাচন করি নাই। একটা উপজেলা নির্বাচন করতে কি ১৫-২০ কোটি টাকা লাগে? এখনো কোন ব্যাক্তি তার বিপক্ষে কোন মামলা করেন নাই। আমি শুনেছি, তিনি (উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদ) ও তার ছেলে ইনভেস্ট করেছে। সালাম যদি সরে যায় তাহলে তার পুত্র এককভাবে চেয়ারম্যান হবেন।


বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে বন্দর উপজেলার মদনপুর বাসস্টান্ড এলাকায়, বন্দরে সহিংসতা বিরোধী প্রতিবাদ ও জনসচেতনামূলক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

উপ নির্বাচন নিয়ে সেলিম ওসমান বলেন, আমি যাকে চাইবো সেই চেয়ারম্যান হবে। উপজেলার নির্বাচনে যেভাবেই হোক আমরা আদায় করবো, যাতে পুণরায় এটার নির্বাচন হয়। একটা বাটপার দিয়ে বন্দর চলতে পারে না। বন্দর নিয়ে  প্রধানমন্ত্রী চিন্তুা আছে, শেখ হাসিনা নারায়ণগঞ্জ নিয়ে স্বপ্ন দেখে। তার একটা বড় প্রমাণ নাসিম ওসমান শীতলক্ষ্যা সেতু, ফেরী, বন্দরে কোন কাঁচা রাস্তা নাই।  ব্যবসা বানিজ্য ভালো চলছে।

তিনি বলেন, চেয়ারম্যান ইলেকশন ইমিডিয়েট ব্যবস্থা করবেন।  চেয়ারম্যান হিসেবে আমি একক ভাবে অনুরোধ করলাম আলী হোসেন কে। শুধু মুছাপুর না, যাতে সমগ্র বন্দরবাসী তাকে সাহায্য করে। মাইরের উপর ঔষধ নাই। উনি (উপজেলার চেয়ারম্যান মাকসুদ)  হলো মালে আর আমরা হইলাম মাইরে।  এখন যে কোন সময় নির্বাচন হতে পারে, নির্বাচন হওয়ার পরে, আমরা উপজেলার নির্বাচনকে আবার চাইবো। দরকার পরলে বন্দর থেকে সবাই ইলেকশন কমিশনে যাবো। কেনো তাকে নির্বাচিত করা হলো, আমরা তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করি নাই। কে করেছে সেটা স্পস্ট হয়ে যাবে। আরেকজন ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছে,মার্কা মাইক কিন্তু একদিন দেখি নাই ফু দিতে। আপনি কি মনে করছেন আপনে ভাইস চেয়ারম্যান হবেন আমি এমপি থাকাকালীন।   ‘বহুত দূর দিল্লিকা লাড্ডু’ যারা খাইছেন মজা পাইছেন। একলা একলা গিয়ে উপজেলায় বসছেন। আমাদের ইউপি চেয়ারম্যানরা বলেছেন যে, উপজেলার চেয়ারম্যানদের সাথে তার কোন সম্পর্ক নাই।  এতো বড় একটা উপজেলা অফিস আর সেখানে আইসা একটা রাজাকারকে বসায় দিবেন। বসানো পর কি হইছে দেখছেন তো মদনপুরে। এতো ক্ষতি হয়েছে এগুলা কার ক্ষতি?  আমার, শেখ হাসিনার না,জনগণের ক্ষতি।

জনসভায় বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান এম এ রশিদের সভাপতিত্বে ও মদনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী এম.এ সালামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন প্রধান, বন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন, ধামগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম আহম্মেদসহ বিভিন্ন অংঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

RSS
Follow by Email