মহানগর বিএনপি’র ইফতারে গায়েশ্বর চন্দ্র ‘ভারতের নিম্নমানের প্রোডাক্ট আওয়ামী লীগ’
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি ও সুস্হ্যতা কামনা মিলাদ ও ইফতার মাহফিলে আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার (৩০ মার্চ) নগরীর মিশনপাড়া এলাকায় হোসিয়ারি সমিতির প্রঙ্গণে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র উদ্দ্যেগে ওই মিলাদ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
মিলাদ ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এছাড়া প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গায়েশ্বর চন্দ্র রায়। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, কাজী সাইদুল আলম বাবুল, সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গায়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ভারত যে পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা বা রেমিট্যান্স নেয়। তার সিরিয়ালে ৩ নাম্বারে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য খাত থেকে ভারত যে আয় পায় তার মধ্যে ৬৪ ভাগ বাংলাদেশের আর ৩৬ ভাগ তাদের। তাহলে ভাবেন আমরা যদি না যাই ভারতে তাহলে এই হসপিটাল গুলোর কি হবে, তাদের হোটেল গুলোর কি হবে। প্রতিদিন ১০ হাজার লোক পাসপোর্ট জমা দেয় ভিসার জন্য। তার সাথে ফিস দিতে হয় ৮শ’ টাকা, এতে প্রতিদিন ৮০ কোটি টাকা। মাসে ২শ’ ৪০ কোটি টাকা। এই ছোট্ট দেশ থেকে ভারতের কি আয় সেটা যদি দেখেন তাহলে মাথা ঠিক থাকার কোন কারণ নাই। মেইড ইন ইন্ডিয়া বিজ বর্জন করার আগে মেইড ইন ইন্ডিয়ান যে সরকার আছে সেটাকে আগে বিদায় করতে হবে। এটাকে বিদায় দিলেই আমাদের সকলের মুক্তি নিশ্চিত হবে।
তিনি বলেন, আমরা ভোট বর্জনের কথা বলেছিলাম। আর দেশের মানুষ ভারতের পণ্য বর্জনের কথা বলছে। আরে, দেশের মানুষ তাদের পণ্য বর্জন করেছে গত ৭ জানুয়ারি। ভারতের সবচেয়ে নিম্নমানের প্রোডাক্ট হলো আওয়ামী লীগ এবং এই সরকার। সুতরাং, এটা যদি ঠিকমতো বর্জন করতে পারেন, তাহলে ভারতের পণ্য বর্জন হবে। ওবায়দুল কাদের জবানবন্দি দিয়েছেন, ভারত যদি আমাদের পাশে না থাকতো তাহলে নির্বাচন সম্পূর্ণ করা সম্ভব হতো না। তার মানে তারা বুঝিয়ে দিয়েছে তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত না। ভারত থেকে মনোনীত। ভারত, চীন ও রাশিয়া তিন দেশের প্রোডাক্ট হলো এই সরকার। আর তাই জনগণ এখন ভোট বর্জন নয়, ওদের যারা বারবার ক্ষমতায় আনে তাদের পণ্য বর্জনের কথা বলছে।
বাবু গায়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, একজন এমপি বললেন, জিনিসপত্রে দাম বেশি কিন্তু একজন মানুষও না খেয়ে মরেনি। আমি সেই বক্তব্য শুনে হাসলাম। গুলি থাকতে না খেয়ে মরবে কেন? গুলি খেয়ে মরছে। সীমান্তে আমাদের মানুষজনকে গুলি করে মারছে। হাজার হাজার কোটি টাকা অস্ত্র কিনি আর সীমান্তে আমাদের বর্ডার গার্ড দাঁড়িয়ে থাকে। আমরা যদি প্রতিবাদ করতেই না পারি তাহলে অস্ত্রের দরকার কী?
বিশেষ অতিথি কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, যে কারণে দেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম, যে কারণে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিলো। স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে স্বসস্ত্র বিপ্লব ও স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন। কিন্তু আজকে দেশে স্বাধীনতা নাই। গত ৭ জানুয়ারি এই সরকার আরেকটি বাকশাল সৃষ্টি করেছেন। আমাদের এই দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে, দেশের গণতন্ত্র রক্ষা করবে হবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠন করার পর জিয়াউর রহমান বলেছেন ‘আমি এই দল রেখে গেলাম, এই দল দেশের গণতন্ত্র রক্ষা করবে, এই দলের নেতারা মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করবে।
ইফতার মাহফিলে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির নেতা মাশুকুল ইসলাম রাজিব, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক মনির হোসেন খান, এড. সরকার হুমায়ন কবীর ও ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, মহানগর বিএনপি’র সদস্য হাবিবুর রহমান দুলাল, সিনিয়র সদস্য এড. মুজিবুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি সাদেকুর রহমান সাদেকসহ নেতৃবৃন্দ।