মনোনয়ন কেনার প্রশ্নই আসে না, গভীর ষড়যন্ত্র চলছে: রিফাত
প্রেস বিজ্ঞপ্তি: নির্বাচন অফিস থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন সংগ্রহ করার খবরে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব গোলাম মুহাম্মদ কায়সার রিফাত। তিনি ও তার পিতা জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন কোনো রকম মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি বলে দাবি করেছেন। কোনো কতিপয় গোষ্ঠী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এই কাজটি করেছেন বলেও তিনি দাবি করেন। এহেন কর্মকাণ্ডে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন কৃষক দলের এই নেতা।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে কায়সার বলেন, ‘এই ফ্যাসিবাদ সরকারের পদত্যাগ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। আমার দলের সিদ্ধান্তের বাইরে আমি বা আমার পিতাও যাবো না। দলের সিদ্ধান্ত সমন্নুত রাখতে প্রয়োজনে জীবন দিতেও আমরা প্রস্তুত আছি। এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা অতন্দ্র প্রহরীর মত রাজপথে থাকবো।’
তিনি বলেন, ‘অনেকেই রাজনৈতিক গেম খেলার চেষ্টা করছেন। সেই গেমের অংশ হিসেবে এই মনোনয়নপত্র কতিপয় গোষ্ঠী আমাদের নামে সংগ্রহ করিয়েছেন বলেই আমরা বিশ্বাস করি। কিন্তু তাদের সেই ষড়যন্ত্র কোনোভাবেই সফল হবে না। আমি দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, নির্বাচন অফিসে আমি বা আমার পিতা আমাদের কোনো প্রতিনিধি প্রেরণ করিনি। মনোনয়ন সংগ্রহ করার ঘটনাটি প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক কতিপয় ব্যক্তিদের দুরভিসন্ধি ছাড়া আর কিছু নয়। আমাকে এবং আমার পরিবারকে হেয় করার উদ্দেশ্যেই এমন কাজ করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দ্ব্যার্থহীন কণ্ঠে বলছি আমি জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং জেলা কমিটির সদস্য সচিব, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, যে বা যারাই এহেন ষড়যন্ত্র চালাচ্ছেন তারা নেকড়ের চেয়েও হিংস্র, পশুর চেয়েও অধম। তাদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করতেও ঘৃণা হচ্ছে। তবে, এমন কাণ্ডে যারা জড়িত তাদের প্রতি করুণা প্রকাশ করছি। একই সঙ্গে মহান আল্লাহ্ও দরবার প্রার্থনা করছি, তাদেরকে যেন তিনি হেদায়েত দান করেন। আমিন।’
কায়সার বলেন, পরিশেষে একটি কথাই বলবো, ‘দলের স্বার্থের বাইরে আমরা কখনই যাবো না। বিএনপির প্রতি আমাদের পুরো পরিবারই কৃতজ্ঞ। ভবিষ্যতেও আমরা দলের সিদ্ধান্তের প্রতি অনুগত্য থাকবো। একই সঙ্গে এসব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করার জন্য প্রতিটি নেতাকর্মীকে সদা সতর্ক থাকার আহ্বান করছি। পাশাপাশি সাংবাদিক ভাইদেরকেও অনুরোধ করছি, আমাদের সম্পর্কে যা বলা হচ্ছে তা আমলে নিবেন না। আমারা এই নির্বাচনকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছি। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে আমরা যাবো না। সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে প্রতিটি পেশাদার সাংবাদিক অবস্থান নিবেন বলে আমরা আশা করছি।’