মধুখালির হত্যাকান্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে: মাও ইমতিয়াজ আলম
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধিয়ে ভারতের মুসলমানদের উপর জুলুম নির্যাতনের ক্ষেত্র তৈরি লক্ষ্যে মধুখালিতে উগ্রবাদিরা দুই সহোদরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। মুসলমানরা অত্যন্ত ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে, ফলে মোদির ম্যাজিক কাজে আসেনি। মোদি ম্যাজিক দেখিয়ে ভারতের মুসলমানদের উপর হত্যাযজ্ঞ চালাতে চেয়েছিল। সরকার ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতে ভারতের গোলামির জিঞ্জিরে দেশকে আবদ্ধ করেছে। ফলে উগ্রবাদিরা পূজায় দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছে। মন্দিরে অগ্নিসংযোগকারীদেরকে কেন মিডিয়ার সামনে আনা হচ্ছে না, তাহলে কী হিন্দুরাই মন্দিরে আগুন দিয়ে মুসলমানদের উপর দোষ চাপিয়ে ঘোলাপানিতে মাছ শিকারে ব্যস্ত? ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমীর বলেন, মন্দিরে আগুন দেয়ার অজুহাতে বিনা বিচারে দুই সহোদর হাফেজে কুরআন শ্রমিক হত্যাকান্ডের ঘটনা পরিকল্পিত। খুনিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। জুলুম নির্যাতন করে ঈমানদারদের দমানো যাবে না।
শুক্রবার (৩ মে) বাদ আসর ডিআইটি চত্বরে কেন্দ্র ঘোষিত দেশব্যাপী কর্মসূচী হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল এবং সভার আয়োজন করে জেলা ও মহানগর ইসলামী আন্দোলন। বিক্ষোভ মিছিলের আগে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মাওলানা ইমতিয়াজ আলম।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ। জেলা সভাপতি মওলানা দ্বীন ইসলামের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, নগর সেক্রেটারি মুহা. সুলতান মাহমুদ, সহ সভাপতি, মুহা. নুর হোসেন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ নগর সভাপতি মাও. হাবিবুল্লাহ হাবিব, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ জেলা ও নগর সভাপতি যথাক্রমে মুহা. যোবায়ের হোসেন ও রবিউল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ জেলা ও নগর সভাপতি যথাক্রমে মুহা. আশ্রাফ আলী ও মুহা. ওমর ফারুক সহ থানা ও ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দ।
সভায় মুফতী মাসুম বিল্লাহ বলেন, স্বাধীনতা পূর্বে পাকিস্তানীরা এদেশের জনগণের অধিকার ভুলুন্ঠিত করেছিলো। এখন আওয়ামী লীগ জনগণের সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছে। ন্যায় বিচার নেই, চিকিৎসা নেই, নিরাপত্তা নেই, চাকুরী নেই। জুলুম-বঞ্চনার শিকার মানুষ। এখনও চরম বৈষম্য সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে। সকল সুযোগ-সুবিধা শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের জন্য। তাহলে স্বাধীনতার মানে কী? ধর্ষণ সেঞ্চুরী পালন করা হয়, স্বামীকে বেধে স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়, হাত-পা বেধে নির্মমভাবে পিটিয়ে মানুষ হত্যা করা হয়। ভোটাধিকার নেই, জানমাল, ইজ্জতের নিরাপত্তা নেই। তাহলে পাকিস্তানীদের মধ্যে আর বর্তমান সরকারের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?
তিনি বলেন, উগ্রবাদি হিন্দুরা মুসলমানদের পিটিয়ে হত্যা করে সরকার তাদের সমর্থন করে। খুনিদের বিচার করে না। মোদির দালালি করে বেশি দিন টিকে থাকা যাবে না।
সমাপনী বক্তব্যে জেলা সভাপতি বলেন, সরকার ইসলামকে মাইনাস করার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে। উগ্রবাদিরা হিন্দুরা সন্ত্রাসীরা দুই মুসলমান হাফেজে কুরআন শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা পরিকল্পিত। প্রশাসন কোনভাবে দায় এড়াতে পারবে না। সন্ত্রাসীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত জনতার আন্দোলন চলবে। পীর সাহেব চরমোনাই নির্দেশ করলে যে কোন ত্যাগ ও কুরবানীর জন্য জীবনের শেষ রক্তবিন্দুটুকুও বিলিয়ে দিতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।