শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪
Led01শিক্ষা

ভয়ঙ্কর মাদক ‘ডেভিল ব্রেথ’ সংগ্রহ করতেন মৃত উদ্ধার হওয়া অধ্যাপক মামুন

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: রূপগঞ্জ থেকে মৃত উদ্ধার হওয়া নর্দান ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আবদুল্লা আল মামুন বাংলাদেশের আলোচিত মাদক ‘ডেভিল ব্রেথ’ সংগ্রহ করেছিল বলে জানিয়েছে ২ মাদক ব্যবসায়ী।

তবে, সেই মাদক সেবন করেই শিক্ষক মামুনের মৃত্যু হয়েছি কিনা তা নিশ্চিত নয় পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত হতে অধিকতর তদন্ত করছে সংস্থাটি।

অধ্যাপক আবদুল্লা আল মামুনের হত্যা মামলার তদন্ত করতে রোববার দুপুরে ভয়ঙ্কর এই মাদক চক্রের ২ সদস্যে সন্ধান পাওয়ার কথা জানান পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল।

ইতোমধ্যেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় জীবন নাশকারী মাদক স্কোপোলামিন ১০ গ্রাম, ২ লিটার পটাশিয়াম সায়ানাইড, ২.৫ লিটার ক্লোরফর্ম, ৬টি মোবাইল, ১ টি ল্যাপটপ ও একটি খাতা।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ থানাধীন নারায়ণপুর এলাকার শাহ আলম প্রধানের পুত্র শাকিল আহম্মদ (৩০) ও বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ থানাধীন ইদিলকাঠি এলাকার নূর মোহাম্মদ মোল্লার পুত্র রাকিব (৩২)।

চাঁদপুর সদর থানা এলাকা থেকে শাকিলকে ও ঢাকার টিকাটুলি এলাকা থেকে রাকিবকে শনিবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, চলতি বছরের ২৩ আগস্ট নিখোঁজের একদিন পরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে উপজেলার পূর্বাচল উপ শহরের গোবিন্দপুর ২০ নম্বর সেক্টরের একটি ঝোপের পাশ থেকে আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৬) নামে এক শিক্ষকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জানা যায় আব্দুল্লাহ আল মামুন রাজধানীর নর্দার্ন ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করতেন। তিনি ফেনী জেলার সদর উপজেলার গজারিকান্দি এলাকার আবুল কালামের ছেলে। স্ত্রী মোরশেদা বেগমকে নিয়ে তিনি ঢাকার দক্ষিণ খান এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষক মামুনের ক্লুলেস হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে তদন্তে নামে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি টিম। সেখানে আটকদের সাথে শিক্ষক মামুনের একটি যোগাযোগ সূত্র পাওয়া যায়। সেই সুত্র ধরে প্রথমে চাঁদপুর থেকে শাকিলকে গ্রেফতার করা হয়। শাকিল ডেভিল ব্রেথ বা শয়তানের নি:শ্বাস নামের একটি ফেসবুকের পেজ খুলে অনলাইনে স্কোপোলামিন নামে নতুন এক ধরণের মাদকসহ সায়ানাইডসহ নানা ধরনের পণ্য বিক্রি করে আসছিল। শাকিলের কাছ থেকে গ্রাহকদের একটি খাতাও উদ্ধার করা হয়। পরে টিকাটুলি থেকে রাকিবকে গ্রেফতার করা হয়। রাকিব এসব মাদক ও বিষ সরবরাহ করতো। স্কোপোলামিন নতুন এক ধরণের মাদক যা সেবন করলে ওই ব্যক্তি সম্মোহিত হয়ে যে কোন অপরাধ ঘটিয়ে ফেলতে পারে। গত এক বছর ধরে চক্রটি এই মাদক বিক্রি করে আসছিল। গ্রেপ্তারকৃতদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে চক্রের বাকী সদস্যদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।

তিনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে ওই শিক্ষক মামুন তাদের কাছ থেকে ওই ভয়ংকর মাদক সংগ্রহ করেছিল। তবে সেই মাদক গ্রহণ বা সেবন করেই শিক্ষক মামুনের মৃত্যু হয়েছি কিনা তা নিশ্চিত নয়। এটি তদন্ত চলছে। এছাড়া তাদের কাছে যে খাতা উদ্ধার করা হয়েছে সেখানেও রয়েছে ওই মাদক সংগ্রহরকারীদের তালিকাসহ বেচাকেনার হিসাব নিকাশ।

RSS
Follow by Email