বেশি বৃষ্টিতে বাড়ে ভোগান্তি, এক রাতেই অচল নগরী
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: একটু বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধ হয়ে যেতো নারায়ণগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সড়ক।
ভোর রাতের বৃষ্টিতে সড়ক উপচে পানি প্রবেশ করেছে বাসা বাড়ি আর মার্কেট ভবন গুলোতে। এতে ভোগান্তি বেড়েছে, ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ। এক কথায় অচল নগরীতে পরিনত হয়েছে নারায়ণগঞ্জ।
স্থানীয়রা বলছেন, এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি চান তাঁরা।
বঙ্গবন্ধু সড়কের মতো সোমবার ভোরের বৃষ্টিতে সারাদিন তলিয়েছে ছিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের চাষাঢ়া, গলাচিপা, মাসদাইর, দেওভোগ, পালপাড়া, আমলা পাড়া, তালা ফ্যাক্টরীর মোড় ও জামতলা এলাকা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু সড়কের কোথাও জমেছে হাটু পানি, কোথাও আবার তার চেয়ে বেশি। পানি উপচে প্রবেশ করেছে নগরীর মার্কেট গুলোতে। হক প্লাজায় পাকিংয়ে তলিয়ে আছে ১০টি প্রাইভেট কার, একটি জেনেরেটর। আশপাশের ভবনের নিচ তলার দোকানেও প্রবেশ করেছে পানি। এতে কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে, ব্যহত হচ্ছে নগরবাসীর স্বাভাবিক জীবন যাত্রা।
শহরের সায়েম প্লাজা মার্কেটের বেবি শপের মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সকালে মার্কেটে এসে দেখি আমার দোকানে পানি। প্রায় তিন থেকে চার লাখ টাকার মালামাল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এখান থেকে বেছে বেছে যেগুলো ভালো আছে সেগুলো সরিয়ে নিচ্ছি।
সুমন নামের এক পথচারী জানান, টেক্স না দিলে সিটি করপোরেশন বাড়িতে গিয়ে বসে থাকে, এবছর শুনছি টেক্স আরও বাড়িয়েছে। কিন্তু সেবার মান বাড়াচ্ছে না কেন? এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি চাই।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেন, সারারাত অতিবৃষ্টির কারণে শহরের সব মহল্লা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। নদীতে পানির উচ্চতা বেশি থাকায় সেখানেও নামতে পারছে না। এখানে ড্রেনেস ব্যবস্থার কোন সমস্যা নেই।
তবে, বন্যা পূর্ভাবাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য বলছে, এখনও শীতলক্ষ্যার পানি বিপদসীমার ২.৩২ এমপিডব্লিউডি নিচে রয়েছে।