বৃষ্টির প্রভাব নগরীর কাঁচাবাজারে, চড়া দামের অভিযোগ
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বিগত ২ দিনের বৃষ্টির প্রভাব পরেছে নগরীর কাচাঁবাজারগুলোতে। একদিকে যেমন বেশি দামে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা, অন্যদিকে বেচাকেনা নেই বলে দাবিও করেছেন বিক্রেতারা। বৃষ্টির কারণে এই নিত্যদিনের সবজীর দাম বাড়ছে বলে জানিয়েছেন তারা। বুধবার (৯ জুলাই) নগরীর দিগু বাবুর বাজারে সরেজেমিনে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাজারে প্রতি কেজি ঢ্যাঁড়শ ও পটোল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। যা ২ দিন আগেও ৩০ টাকায় দর কষাকষিতে কিনেছেন বিক্রেতারা। এছাড়াও উচ্ছে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি, বেগুন বিক্রি হচ্চে ৭০ টাকা কেজি, গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা প্রতি কেজি। বাজারে এর চেয়ে বেশি দর বিক্রি করতে দেখা গেছে টমেটো ও গাজর ও কাঁচা মরিচের দাম। গ্রীষ্মকালীন এসব সবজি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়। শসার দাম প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ক্যাপসিকামের দাম ৩০০ টাকা কেজি, ধনে পাতা ২৪০ টাকা কেজি, পুদিনা পাতা ৩০০ টাকা কেজি, পেঁপে ৪০ টাকা কেজি, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এ বিষয়ে সজীব নামের এক বিক্রেতা বলেন, বৃষ্টির মৌসুম চলছে। এ কারণে পন্য আসছেও কম। তাছাড়া এসব পণ্যের এগুলোর উৎপাদন খরচ তুলনামূলক বেশি। এ বছর অনেক সবজীর দর কমে যাওয়ায় কৃষকের লোকসান হয়েছে। এখন যেসব সবজি আসছে, সেগুলোর উৎপাদন ব্যয় কিছুটা বেশি। সে জন্য কৃষক দাম একটু বেশি নিচ্ছেন। আর আমরা যেহেতু বেশি দামে কিনে আনছি তাই এখানেও সেই দাম হিসেবেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
আরেকজন বিক্রেতা মো. মিলন হোসেন বলেন, ‘টানা বৃষ্টির কারণে শুধু নারায়ণগঞ্জ না ঢাকার বেশ কিছু বাজারে সবজির সরবরাহ অনেকটাই কমে গেছে। আগের তুলনায় বাড়তি দাম দিয়ে আমাদের কিনে আনতে হয়েছে। একই সঙ্গে বৃষ্টির কারণে গাড়ি ভাড়াও আগের তুলনায় অনেক বেশি দিতে হয়েছে। সব কিছু মিলিয়ে দাম বেড়েছে। কিন্তু দাম বাড়লেও আগের মতো ক্রেতা নাই। সকালে দোকান খুলি সেই ৮ টায়, এই কয়টাদিন ১২ টায় দোকান খুলেও ক্রেতা পাই নাই।’
বাজার করতে আসা আসলাম নামের একজন ক্রেতা বলেন, কোরবানীর আগে সবজীর বা মাংসের দাম কমছিলো। কিন্তু এর পর থেকে নানা অযুযাতে বাড়তেসে। আর এই বাজারে সকালে যে শসা ২০-২৫ টাকা কেনা যায় বেলা বাড়লে সেটা ৩০-৪০ টাকায় গিয়ে ঠেকে এতে কোন বৃষ্টি বা ঝড়তুফান হওয়া লাগে না। সবজীর বাজারে দাম এভাবে বাড়লে আমরা ৫-৭ জনের পরিবার নিয়ে খাবো কিভাবে।
নাফিস নামের আরেকজন ক্রেতা বলেন, ২দিন আগেও যে বেগুন কিনেছি ৩০ খেকে ৪০ টাকা দরে সেই বেগুন এই দুই-তিন দিন ধরে দাম বেড়েছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। গোল বেগুন তো ১৩০ টাকা চায় এই বাজারে, কিন্তু এলাকাগুলোতে ১৫০-১৬০ টাকার নিচে এই বেগুন কেনা যায় না। কিছু জিগেস করলে একই উত্তর শুনতে পাই, ‘বৃষ্টির জন্য মাল আসে নাই, দাম বাড়সে।’