সোমবার, জুলাই ১৪, ২০২৫
Led01Led02অর্থনীতি

বৃষ্টির প্রভাবে নগরীতে বেড়েছে কাঁচা মরিচের ঝাল

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বিগত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে জনজীবনে এসেছে ভোগান্তি, সাথে প্রভাব পরেছে নগরীর কাচাঁবাজারেও। একদিকে যেমন বেশি দামে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা, অন্যদিকে বেচাকেনা নেই বলে দাবিও করেছেন বিক্রেতারা। বৃষ্টির কারণে সবজি আসছে না বলে জানিয়েছেন তারা। সর্বশেষ বৃষ্টিতে কাঁচা বাজারের অণ্যান্য সবজির দাম তেমন পরবির্তন না হলেও কাঁচামরিচে প্রতি কেজিতে বেড়েছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। রবিবার (১৩ জুলাই) নগরীর দিগু বাবুর বাজারে সরেজেমিনে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাজারে গত সপ্তাহে যেখানে কাঁচামরিচের দাম ছিলো ১৬০ টাকা কেজি, সেখানে গতকাল ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। তাদের ভাষ্যমতে, আমদানি কম হওয়ায় কাঁচামরিচের দাম এমন বাড়তির দিকে। তবে গতকাল থেকে আজ আমদানি বেশি হওয়ায় আজ (এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত) বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা প্রতি কেজি।

এদিকে গত সপ্তাহের মতোই বাজারে প্রতি কেজি ঢ্যাঁড়শ ও পটোল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। যা দর কষাকষিতে ৩০ টাকায়ও কিনেছেন ক্রেতারা। এছাড়াও উচ্ছে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি, বেগুন বিক্রি হচ্চে ৬০ টাকা কেজি, গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা প্রতি কেজি। গ্রীষ্মকালীন সবজি টমেটো ও গাজর বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৪০ টাকায়। শসার দাম প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ক্যাপসিকামের দাম ৪০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা কেজি, ধনে পাতা ২৪০ টাকা কেজি, পুদিনা পাতা ৩০০ টাকা কেজি, পেঁপে ২৫ টাকা কেজি, বরবটি ৬০ কেজি, লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এ বিষয়ে রমজান নামের এক বিক্রেতা বলেন, কাঁচাবাজারে তো দাম সব সময় দাম কমে বাড়ে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে দাম উঠা নামা বেশি করতেসে। বৃষ্টিতে সবজি আসেও কম। এ বছর অনেক সবজির দর কমে যাওয়ায় কৃষকের ক্ষতি হইতেসে। এখন যেসব সবজি আসে, সেগুলোর খরচ বেশি। সে জন্য কৃষকরা দাম একটু বেশি নেয়। আর আমরা যেহেতু বেশি দামে কিনি তাই এখানেও সেই দাম হিসেবেই বিক্রি করতে হয়।

আরেকজন বিক্রেতা মো. মিলন হোসেন বলেন, ‘টানা বৃষ্টির কারণে শুধু নারায়ণগঞ্জ না ঢাকার বেশ কিছু বাজারে সবজির সরবরাহ অনেকটাই কমে গেছে। সবজির মধ্যে কাঁচামরিচটা বেশি তাড়াতাড়ি পচে যায়। তাই দেখা গেছে কোন কারণে কাঁচামরিচ কম আসলেই তারা বেশি দামে বিক্রি করে। সেখানেই আগের তুলনায় বাড়তি দাম দিয়ে আমাদের কিনে আনতে হয়েছে। একই সঙ্গে বৃষ্টির কারণে গাড়ি ভাড়াও আগের তুলনায় অনেক বেশি দিতে হয়েছে। সব কিছু মিলিয়ে দাম বেড়েছে। কিন্তু দাম বাড়লেও আগের মতো ক্রেতা নাই।’

বাজার করতে আসা ফাহিম নামের একজন ক্রেতা বলেন, ৪দিন আগেও এই বাজার থেকে কাঁচামরিচ নিছি ১৬০ টাকা কেজি হিসেবে। আর আজ শুনি সেই দাম নাকি ২০০ টাকায়। দোকানদাররা বলতেসে এই কাঁচামরিচ গতকাল বিক্রি হইসে ৩০০ টাকা কেজিতে। এভাবে দাম বাড়লে আমাদের মতো মধ্য বিত্তদের চলা কষ্ট হয়ে যাবে।

নাফিসা নামের আরেকজন ক্রেতা বলেন, বেগুন, শসা, টমেটো গতসপ্তাহে যে দামে কিনেছি এবারও কিছুটা তেমনই আছে। কিন্তু কখন কিসের দাম বাড়ে কম সেটা নিয়ে টেনশন থাকে। আমরা তো একবাড়ে সারা মাসের বাজার একসাথে কিনতে পারি না। প্রতি সপ্তাহে টুকি-টাকি লাগেই। দোকানদারকেও কিছু জিগেস করা যায় না, ‘বলে নিলে নেন, নাইলে যান’। মুরগীর দোকানে গিয়ে দেখি সোনালি কক, লেয়ার, পাকিস্তানি মুরগির দাম কেজিতে ৩১০ টাকা। এখন যে ভাবে দাম বাড়তেসে একটা ৫-৬ জনের মধ্যবিত্ত পরিবার পেট ভরে খেতে পারবে না।

RSS
Follow by Email