বৃষ্টিতে ভোগান্তি বাড়লেও স্বস্তি নগরীর কাচাঁবাজারে
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বৃষ্টির সাথে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পরেন নগরবাসী। একদিকে অতিরিক্ত ভাড়া, অন্যদিকে বৃষ্টির পানি ও সড়কের ময়লা মিলে একাকার অবস্থা। সাথে কিছু কিছু জায়গায় থাকে জলাবদ্ধতা। সব মিলিয়ে সৌখিন মানুষরা বৃষ্টি উপভোগ করলেও ভোগান্তিতে পরে খেটে খাওয়া মানুষ। তবে এই বৃষ্টির ভোগান্তির মধ্যেও স্বস্তি আছে নগরীর কাঁচাবাজারগুলোতে। তুলোনামূল স্বাভাবিক দামেই বিক্রি হচ্ছে অধিকাংশ সবজি।
মঙ্গরবার (২২ জুলাই) নগরীল দ্বিগুবাবুর বাজারে সরেজমিনে এমনই তথ্য পাওয়া যায়। সরেজমিনে দেখা যায়, বেগুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেপে ২০ থেকে ২৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, শশা ৬০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, টমেটো ৭০ থেকে ১২০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, গাজর ৮০ থেকে ১২০ টাকা, কুমড়া ৪০ টাকা ও ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়াও বাতাবি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা প্রতি পিস, জাম্বুরা বিক্রি হচ্ছে আকার ভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়, লাল শাক ৪০ থেকে ৬০ টাকায়, পুইঁশাক ৫০ টাকা কেজিতে। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিপ্রতি, গোল বেগুন ১২০ টাকা প্রতিকেজি, কাকরোল ৬০ টাকা প্রতিকেজি।
কাচাঁবাজারে সবজি কিনতে আসা মাসুম বলেন, বাজারে তো সবকিছুর দামই বাড়ে কমে। তবে এখনের দাম বাড়লেও একটা লিমিটে থাকে। পরবির্তনের পর আমাদের আর পেয়াজ ২৫০ টাকা কেজি কিনে খেতে হয় নাই এখন পর্যন্ত। পত্রিকায় পড়ি প্রশাসন নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছেন, হয়তো আরও দৃষ্টি দিলে সবজীর দামগুলো আরও সহনীয় হয়ে আসবে। বাজারে স্বস্তি মানেই মধ্যবিত্ত আর নিম্নবিত্তদের মুখে হাসি।
গৃহিণী তাসলিমা জানায়, কাঁচামরিচ গত সপ্তাহে কিনেছি ৩০০ টাকা কেজি, সেখানে আজ ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দাম কম হলেই আমাদের জন্য ভালো। তবে সব সবজীর দাম কমেছে বিষয়টা এমন না। কিছু কিছু সবজীর দাম বেড়েছে। পটল ও করলা আগের তুলোনায় ১০ টাকা বেড়েছে। আমরা ব্যবসায়িদের কাছে এক প্রকার জিম্মি। তারা যে দামই রাখুক আমাদের খেতে হলে কিনতে হবে। সব ব্যবসায়িরা তো এক না, গতকালও খবরে দেখলাম মাইলস্টোন স্কুলের সামনে ২ লিটারের পানির বোতল বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। এমন কিছু সুযোগে ব্যবসায়িদের জন্যই বাজার মাঝে মাঝে অস্থির হয়ে উঠে।
সবজী ব্যবসায়ী আনোয়ার বলেন, শুধু কাঁচা বাজারে না কোন বাজারে আমাদের মতো খুচরা ব্যবসায়িরা দাম বাড়ায় কমায় না। প্রতিটা সবজি বা জিনিসের প্রতি আমাদের লাভ সীমিত। দাম নির্ধারণ বা বাড়ে কমে আড়ৎদাড় বা পাইকারি ব্যবসায়িদের থেকে। তারা যে দামে আমাদের কাছে বিক্রি করে সেই দামেই আমরা সেই হিসেবেই বিক্রি করি। গত সপ্তাহের আজে সকালে আমার দোকানে কাঁচামরিচ বিক্রি করসি ৩০০ বা ২৮০ টাকা কেজি। পরের দিন সেই মরিচ নেমে গেসে ১৭০ টাকায়। আমার যে মরিচগুলো আগে কেনা ছিলো সেগুলোতে লোকসান দি্য়েও বিক্রি করতে হইসে।
ক্রেতারা জানান, গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে দাম কিছুটা কম। বাজারে বেশি শাক-সবজি আসার কারণে দাম কমেছে। টমেটো ও গাজরের দামও কমেছে। পটল, কাকরোল, চিচিঙ্গা, কলমি শাক, পুঁইশাকের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় ৫ থেকে ১০ টাকা করে কমেছে।