বুধবার থেকে বাজারে ডিমের নির্ধারিত মূল্য কার্যকর হবে: ভোক্তা অধিকার
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: শাক-সবজি, ডিম, মুরগিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাড়তি দামে অস্থির হয়ে আছে বাজার। নিত্যপণ্যের দামে লাগাম টানতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে অন্তবর্তী সরকার। উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে মুরগির ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। কিন্তু সারাদেশ সহ নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন বাজারে ডিমের সেই দাম দেখা যায়নি। কিন্তু বুধবার (১৫ অক্টোবর) থেকে বাজারে ডিমের এ দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ডিম উৎপাদক এবং সরবরাহকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে তিনি জানান, বুধবার থেকে উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ৯১ পয়সা, পাইকারিতে ১১ টাকা ১ পয়সা। খুচরায় ১১ টাকা ৮৭ পয়সায় ডিম বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে হিসেবে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি ডজন কিনতে খরচ হবে ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা।
নারায়ণগঞ্জে ডিমের যৌক্তিক দাম বাস্তবায়ন করতে বাজারে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ‘সরকার নির্ধারিত দামে’ডিম কিনতে ও বিক্রি করতে না পারার অজুহাতে সংগ্রহ বন্ধ রাখেন ব্যবসায়ীরা। দেশের কোথাও কোন ট্রাক ডিম আনতে দেখা যায়নি। ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, বাজার স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ডিম সংগ্রহ বন্ধ থাকবে। এতে করে সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়।
নারায়ণগঞ্জ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. সেলিমুজ্জামান লাইভ নারায়ণগঞ্জকে জানান, আমরা প্রতিদিন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে গঠিত বিশেষ টাস্কফোর্স নারায়ণগঞ্জের বাজারে অভিযান চলছে। ডিমের দাম বেশি রাখায় কয়েকটি দোকানকে জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়েছে। বাজারে মূল্য কার্যকর নিয়ে নতুন কোন নিদের্শনা এখনও পাইনি। তবে আমরা পূর্বের দেয়া নির্দেশে যৌক্তিক মূল্য কার্যকরে কাজ করে আসছি।
এর আগে, ১৫ সেপ্টেম্বর উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে ডিম (মুরগির লাল ডিম), সোনালি ও ব্রয়লার মুরগির দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে সংশ্লিষ্টদের এ দাম বাস্তবায়নের নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়।
চিঠিতে ডিম খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা, সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা এবং ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। ডিমের মূল্য উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ১১টা ০১ পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে ১১টাকা ৮৭ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। কেজিপ্রতি সোনালি মুরগি উৎপাদক পর্যায়ে ২৬০ টাকা ৭৮ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ২৬৪ টাকা ৫৭ পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। কেজিপ্রতি ব্রয়লার মুরগি উৎপাদক পর্যায়ে ১৬৮ টাকা ৯১ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ১৭২ টাকা ৬১ পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা নির্ধারণ করা হয়।