‘বিশ্ব দুগ্ধ দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে হাইস্কুলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ‘বিশ্ব দুগ্ধ দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মিল্ক ফিডিং কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১ জুন) বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জ হাইস্কুল প্রঙ্গনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ ফারুক আহাম্মেদের সভাপতিত্বে ও নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুলের অধ্যক্ষ মো. মাহমুদুল হাসান ভুইয়ার সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেলিম ওসমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাকিব আল রাব্বি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) এস এম জাহিরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেলিম ওসমান বলেন, আমরা অনেক সময় মনে করি আমাদের বাচ্চাদের অতিরিক্ত খেতে হবে। তাদের অতিরিক্ত খাওয়ার দরকার নাই। আপনি একটি বাচ্চাকে মাত্র আড়াইশ এমএল দুধ খাওয়ান। দুধ যদি খাওয়াতে না পারেন তাহলে টক দই খাওয়ান, ছানা খাওয়ান। দুধ আমাদের বাচ্চাদের অনেক দরকার। দুধ, সাথে একটা কলা ও একটি ডিম একটি বাচ্চার জন্য যথেষ্ট। এটার পরে যদি সে সারাদিন ভাত নাও খায়, তাহলেও ভয় পাওয়ার কিছু নাই।
তিনি আরও বলেন- অনেক সাংবাদিকরা আমাকে প্রশ্ন করছিলেন, এইবার কুরবানির ঈদে আপনার গরু বিক্রির টাকা দিয়ে আপনি কি করবেন? আমার গরু বিক্রির একটা অংশ এই হাইস্কুলে অত্যাধুনিক একটি অডিটোরিয়াম তৈরি করার জন্য একটি ফান্ড আমি দিবো। আমি অনুরোধ করবো, ভালো ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের সাথে কথা বলে এটা করতে হবে। আমি কথা দিয়ে গেলাম, আল্লাহ যদি আমাকে হায়াত দেন আর আমার গরু যদি বিক্রি হয়ে যায় তাহলে এখানে একটি অত্যাধুনিক অডিটোরিয়াম হবে। এমনকি মায়েরাও গেটে বসতে পারবে না। অডিটোরিয়ামের চারিদিকে যদি আমরা গোল করে চেয়ার দিয়ে দেই, তাহলে আমাদের অভিভাবকেরাও কিন্তু এখানে বসতে পারবে।
তিনি বলেন, যারা কিনা আজকে হাইস্কুলের নির্বাচন নিয়ে নোংরামি করছেন। তাদেরকে আমি অনুরোধ করবো, এই নির্বাচনে মামলা-মোকাদ্দমাটা বাদ দেন। আর নাহলে আপনাদের এই সমাজের সবচেয়ে ঘৃণ্য প্রানি বলে আমি মনে করবো। আপনার যদি কাজ করতে হয় তাহলে আপনারা আসেন, আমাদের সাথে যোগাযোগ করেন; আপনি ভালো কাজ দিতে পারলে আপনার কাজ আসরা অবশ্যই গ্রহণ করবো। ধাপে ধাপে এটা বদলাবে। আমি আশাবাদি, আবারো আমাদের চন্দনশীল আসবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিরুল ইসলাম বলেন, দুধের যেদিন বানিজ্যিকরণ শুরু হয়েছিলো, সেদিন থেকে দুধের দাম আমাদের নাগালের বাইরে যাওয়া শুরু করে। আমরা যদি প্রান্তিক গ্রামের মানুষের দিকে তাকাই তাহলে দেখা যাবে, তারা কিন্তু সবসময় দুধ খেতে পারে না। তাদের প্রতি একটু সু-দৃষ্টি দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. মুহাম্মদ ফারুক আহাম্মেদ বলেন, সারা বাংলাদেশে ও আন্তর্জাতিক ভাবে আজকে এই দিবস পালন করা হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে এই পণ্যকে সকল শ্রেনীর মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় করা, দুগ্ধ উৎপাদনে উৎসাহ প্রদান এবং এর শিল্পায়নকে তরান্বিত করা। আমরা চারজন ডেমো খামারি তৈরি করবো যাদেরকে দেখে অন্যরা উৎসাহ পাবে। আমরা প্রতিটি উপজেলায় বিভিন্ন যুবক-যুবতী, প্রান্তিক খামারিদের আমরা প্রশিক্ষণ দিবো এবং তাদেরকে আমরা সবলম্বি করার চেষ্টা করবো।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন উপজেলার প্রানি ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্ধী এবং অভিভাবকেরাও উপস্থিত ছিলেন।