রবিবার, অক্টোবর ১৯, ২০২৫
Led03জেলাজুড়ে

বিজয় দিবসে না.গঞ্জসহ নদীবন্দরে নৌবাহিনীর জাহাজ উন্মুক্ত

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস-২০২৫ উদ্‌যাপন উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ে বিস্তৃত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তমন্ত্রণালয় সভায় এসব কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়। এবারের আয়োজনে নারায়ণগঞ্জসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ নদীবন্দরগুলোতে নৌবাহিনীর জাহাজ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সভার কার্যপত্র অনুযায়ী, বিজয় দিবসের মূল আয়োজন শুরু হবে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে। এই সময় ঢাকায় ৩১ বার তোপধ্বনি করা হবে। একই সঙ্গে দেশের সব জেলা ও উপজেলা সদরেও ৩১ বার তোপধ্বনি হবে।

সূর্যোদয়ের পরপরই প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং পরে প্রধান উপদেষ্টা সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারের সদস্য, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধারা শ্রদ্ধা জানাবেন। বিদেশি কূটনীতিকরাও স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন।

বিজয় দিবসের বিশেষ কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশের গুরুত্বপূর্ণ নদীবন্দরগুলোতে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের জাহাজগুলো জনসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে। এ বছর সেই তালিকায় অন্যান্য বন্দরের সঙ্গে পাগলা (নারায়ণগঞ্জ) ঘাটে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজ একক বা যৌথভাবে প্রদর্শন করা হবে। এছাড়া চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলা, পায়রা বন্দর, ঢাকার সদরঘাট, বরিশাল, চাঁদপুর ও মুন্সিগঞ্জেও এই ব্যবস্থা থাকবে।

বিজয় দিবসের দিন সকাল ৯টায় সব বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া জেলা ও উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

বিজয় দিবস উপলক্ষে ওই দিন থেকে সব জেলা এবং উপজেলায় তিন দিনব্যাপী অনাড়ম্বরপূর্ণ বিজয় মেলা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি শিশুদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক রচনা, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

এছাড়াও ঢাকাসহ দেশের সব জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সিনেমা হলগুলোতে ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিনা টিকিটে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী এবং উন্মুক্ত স্থানে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

দিনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে দেশের সব হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা ও ভবঘুরে প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশেষ প্রীতিভোজের আয়োজন। বিজয় দিবসের দিন বঙ্গভবনে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানও হবে। বিজয় দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।

RSS
Follow by Email