বিকেএমইএ’তে বর্তমানে যারা নেতৃত্বে আছেন তারা অবৈধ: মাসুদুজ্জামান
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুজ্জামান বলেছেন, আমরা সকলে এক সাথে কাজ করতে চাই। আমরা এখনো অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত। নারায়ণগঞ্জে জেলা প্রশাসক আছে, এসপি আছে, সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আছে, তাদের কর্মকান্ডের সাথে নারায়ণগঞ্জবাসীর স্বপ্ন যায় না। নারায়ণগঞ্জবাসীর স্বপ্ন নারায়ণগঞ্জের মানুষের নজরে দেখতে হবে, না হলে আপনারা যেতে পারেন। আপনারা যদি নারায়ণগঞ্জের ভালো চান, কাজ করতে ইচ্ছা থাকে তাহলে আপনারা থাকেন; না হলে আরও অনেক জায়গা আছে কাজ করার সেখানে যান।
আমার নারায়ণগঞ্জ সংগঠনের আয়োজনে শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে ‘আমরা কেমন নারায়ণগঞ্জ চাই?’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এই সব কথা বলেন।
মাসুদুজ্জামান বলেন,আমরা যখন তাদের আসতে বলেছি তখন তারা আমাদের বলেছে, একটি রিপোর্ট টাইপ করে আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েন। কিন্তু কেন? আমাদের কথা শুনতে হলে আমাদের কাছে আসতে হবে। কাচের ঘরে বসে গরিবের কথা ভাবতে পারবেন না। এসপি সাহেবকে যখন আমন্ত্রন জানানো হলো তখন তিনি জিজ্ঞেস করলেন ডিসি সাহেব যাবে নকি। আমরা এই আমলাতান্ত্রীক জটিলতায় যেতে চাই না। যেখানে আমরা অটো-রিকশা কমিয়ে যানজট কমাতে চাই সেখানে উনি রিকশার লাইসেন্স দিচ্ছে। এর কারণ কি? ব্যাক্তি স্বার্থ। এমন প্রশাসক আমাদের দরকার নাই। আমাদের সমস্যা সমাধান করতে না পারলে আমরা ট্যাক্স দিবো না। আমরা ভয় পাবো কেন।
তিনি আরও বলেন, সব এসপি এসে বলে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। এই এসপি এসেও বলেছেন। অথচ ওনার কার্যালয়ের ১কিলোমিটারের মধ্যেই মাদকের বাজার। তাহলে উনি করছেন কি। নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ তার কাছ থেকে কোন সাহায্য সহযোগীতা পাচ্ছে না। আমি এখানে উপস্থিত সকলকে বলতে চাই, একটু শক্ত থাকেন সব সোজা হয়ে যাবে। ‘আমার নারায়ণগঞ্জ’ এই সংগঠনটা সবার। আমরা চেষ্টা করবো মহিলাদেরও এই সংগঠনে সম্পৃক্ত করতে।
নারায়ণগঞ্জের মেধাবী ছাত্র ত্বকীসহ সকল হত্যাকান্ডের বিচার আমি চাই। গডফাদার ও তার সন্তানেরা যারা এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য আমার জোর দাবি থাকবে।
বিকেএমইএ‘র বিষয়ে মাসুদুজ্জামান বলেন, এফবিসিসিআই ও বিজিএমইএ’র কমিটি ভাঙ্গা হলেও এখনো বিকেএমইএ’র কমিটি ভাঙ্গা হয় নাই। এই বিকেএমইএতে বর্তমানে যারা নেতৃত্বে আছেন তারা অবৈধ ভাবে আছেন। সেলিম ওসমান তার পদত্যাগ পত্রে লিখেছেন হাতেমকে সভাপতি করা হোক। কেন? উনি কেন বলবেন। এর পর পরই একটি নাটক হলো। দুইজন পরিচালন পদত্যাগ করলেন। হাতেম সাহেব আমার অফিসে গেলেন, গিয়ে প্রথম প্রশ্ন আমাকে জিজ্ঞেস করলেন এটা কি হলো? দ্বিতীয় কথা আমাকে বললেন সেলিম ভাই আপনার সাথে কথা বলতে চায়। তো এই হইলো আমাদের হাতেম ভাইদের বিকেএমইএ। এত বছরে ভ্যাট সমস্যা ওনারা সমাধান করতে পারেন নাই। ওনারা কখনোই গার্মেন্টেসের স্বার্থে কথা বলেন নাই। ওনারা শুধু ব্যাক্তি স্বার্থ নিয়েই কথা বলেছে।
তিনি আরও বলেন, এইযে তথাকথিত সৈরাচারের দোষর। তারা যদি নিজ থেকে না যায় তাহলে আমরা রাস্তায় নামবো। আপনারা আমাদের পাশে থাইকেন।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা আপনাদের কলমটাকে সত্যের পথে নিয়ে যাবেন। আপনাদের কাছে আমার এবং আমাদের সকলের এই প্রত্যাশা থাকবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর সভপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর উদ্দিন আহম্মেদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, প্রেসক্লাবের সভাপতি আরিফ আলম দিপু, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবন, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এড. মাহবুবুর রহমান মাসুম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য মাওলানা মঈনুউদ্দিন আহমদ, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর এর সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ, নারায়ণগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ ও প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক রুমন রেজা, ন্যাপ নারায়ণগঞ্জের আহ্বায়ক এডভোকেট আওলাদ হোসেন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল ওয়াকার্স ফেডারেশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাঈল, গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক তরিকুল সুজন, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা প্রমুখ।