মঙ্গলবার, জানুয়ারি ৭, ২০২৫
রাজনীতিসোনারগাঁ

বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে সাবেক ইউপি সদস্যের বাড়ি দখলের অভিযোগ

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে একটি ৪তলা ভবন দখলের অভিযোগ করেছে এক ভুক্তভুগি। রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পিরোজপুর ইউপির ৯নং ওয়ার্ডে সাবেক মেম্বার মমতাজ বেগম।

এসময় তার স্বামী তমিজ উদ্দিন, ছেলে মাহবুব হোসেনসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

তবে, বিষয়টি অস্বিকার করেছেন আজহারুল ইসলাম মান্নান। তিনি জানান, আমরা দখল করি নাই, আমরা আমাদের জায়গাই পুনরুদ্ধার করেছি।

এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকারে পাচ্ছেন না বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।

লিখিত বক্তব্যে সংবাদ সম্মেলনে মমতাজ মেম্বার বলেন, ২০০১ সালে তিনি তার জমিতে ৪তলা ভবন নির্মণ করে বসবাস করে আসছিলেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সকারের পতনের পর সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান ও তার ছেলে যুবদল নেতা খায়রুল ইসলাম সজিবের নেতৃত্বে জুয়েল, রিপন, আলী নূর, খোরসেদ ও বাবুসহ অজ্ঞাত ১০০ থেকে ১৫০ জন সন্ত্রাসী প্রথমে মমতাজ বেগমের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।

পরে ৬ আগস্ট তার ৪তলা ভবনে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর লুটপাট চালায়। এ সময় মমতাজ বেগমসহ পরিবারের লোকজনদের মারধর করে টেনে হেছড়ে বের করে দিয়ে ভবনটি দকল করে নেয়। এছাড়া বাড়ির আম, জাম, কাঁঠাল ও কাঠ গাছসহ প্রায় ৬০ থেকে ৭০টি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে নিয়ে যায়। এখানেই শেষ নয়, বাড়ির প্রধান ফটক সংলগ্ন ভাড়া দেয়া ৩টি দোকানও ভাংচুর করে উচ্ছেদ করে ৭ থেকে ৮ ফুট উঁচু দেয়াল নির্মাণ করে দেয়।

বাড়ির প্রধান ফটক ইটের দেয়াল দিয়ে বন্ধ করে দিয়ে ভবনের ভিতরের কেচিগেটসহ সব রুমে তালা লাগিয়ে দেয়। এই ঘটনার পর প্রতিকার চেয়ে ১১ আগস্ট সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ১৮ আগস্ট সোনারগাঁও থানা এবং ২৩ সেপ্টেম্বর সোনারগাঁয়ে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প বরাবর লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না তারা।

মমতাজ বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, এখন আমাদের বসবাসের কোন জায়গা নাই। পরিবার নিয়ে বাইরে অবস্থান করতে হচ্ছে। আমি অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষপ কামনা করছি যাতে আমি তদন্তপূর্বক আমার বাড়ি ফিরে পাই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আজহারুল ইসলাম মান্নান জানান, এটি মুলত আমাদের জায়গা ছিলো। এই মহিলা ও তার স্বামী মিলে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তারা এটা দখল করে রেখেছিলো। আমরা বিভিন্ন হামলা মামলার কারণে আমাদের জমিতে যেতে পারি নাই। আমরা আমাদের জায়গা দখলে নেওয়ার পর দলের হাইকমান্ডকেও জানিয়েছি, জমির কাগজপত্র ও বিভিন্ন প্রমানাদিও তাদের কাছে পাঠিয়েছি। একই জিনিস আমরা ডিসি সাহেবকেও দিয়েছি, সেনাবাহিনীর ক্যাম্পেও দিয়েছি।

RSS
Follow by Email