বিএনপি ক্ষমতায় না থেকেও বিগত ১৫ বছর মানুষের পাশে ছিলো: মামুন মাহমুদ
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের জন্য যে মায়ের সন্তানরা জীবন দিয়েছে। যে মায়েদের বুক খালি হয়েছে। যারা রক্ত দিয়েছে। তাদের রক্তের সঙ্গে আমরা বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারবো না। বিএনপি ক্ষমতায় না থেকেও রাজনৈতিক প্রতিকোলতার মধ্যেও বিগত ১৫ বছর মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। এখনো দাঁড়াচ্ছে। ভবিষ্যতেও দাঁড়াবে।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৪ টায় সিদ্ধিরগঞ্জ মিজমিজি পাইনাদী রেকমত আলী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে শীতার্থদের মাঝে কম্বল বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এনসিসির ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি আরও বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি যেন এদেশে চালু না হয়। বিএনপি বিচারহীনতার সংস্কৃতি চায়না। অপরাধিদের বিচার না হলে এদেশে আবার শেখ হাসিনার মত স্বৈরাচারী শাসকের জন্ম হবে। তাই তারেক রহমানের নির্দেশনায় আমরা এমন একটা সমাজ গড়তে চাই, যে সমাজে কেউ কারো দোকানে চাঁদা চাইবে না। কেউ কারো বাড়ি, জমি, ও মিল-কারখানা দখল করবে না। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের মন্ত্রী এমপিরা দেশের মানুষের হক মেরে, মানুষের টাকা মেরে, রাজপথে গুলি করে মানুষ মেরে, এত অন্যায় করেও শেখ হাসিনা একটা দিন জেল কাটতে চায়নি। পালিয়ে গেছে ভারতে। ভারত যদি তাকে ফিরিয়ে না দেয়, আমরা যেকোন মূল্যে তাকে ভারত থেকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করবো।
মামুন মাহমুদ বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। বিএনপি মানুষের ভোটের বিশ্বাস করে। তাই মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য বিএনপি আন্দোলন সংগ্রাম করে স্বৈরাচারী সরকারের সময় পালিয়ে বেড়াচ্ছে, বাড়ি-ঘর ছাড়া হয়েছে, কিন্তু রাজপথ ছাড়ে নাই।
১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গাজী মনির হোসেনের সভাপতিত্বে ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি জুয়েল রানার সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবুল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্নআহ্বায়ক রিয়াজুল ইসলাম, ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বাবুল প্রধান, ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি অকিল উদ্দিন ভূঁইয়া, ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, ১০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি লেয়াকত হোসেন লেকু, ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোশারফ হোসেন, ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোক্তার হোসেন, ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মারুফ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক সাকের আহম্মেদ সোহান, ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নূরউদ্দিন নূরু, যুবদল নেতা গাজী স্বপন, ছাত্রদল নেতা মোয়াজ হোসেন ও মানিক প্রমুখ।