বিএনপির ৪২৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, বাদী জানে না আসামী কত
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে বিএনপির ২৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৪০০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ৭জনকে গতকাল ঘটনাস্থল থেকেই আটক করা হয়।
শনিবার রাতেই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলে জানায় মামলার বাদী সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই মুমিনুল হক। তবে, মামলায় কয়জন আসামী কিনবা কয়জনকে আটক করা হয়েছে, জানেন না পুলিশের এই কর্মকর্তা।
জানতে চাইলে এসআই মুমিনুল হক বলেন, মামলায় আসামীর সংখ্যাটা আমার জানা নেই, আপনি ওসি স্যারের সাথে কথা বলেন; উনি বলতে পারবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, পুলিশের উপর হামলা ও নাশকতার অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে, বিস্তারিত পরে বলা যাবে।
মামলার অভিযোগসূত্রে জানা যায়, বেআইনী জনতাবদ্ধে সরকারী কাজে বাধা প্রদান, অন্যায় ভাবে বল প্রয়োগ, পুলিশকে আঘাত করে হত্যার উদ্দেশ্যে সাধারণ ও গুরুতর জখম করত বিশ্বফোরন ঘটানো ও হুকুম প্রদানের অপরাধ আনা হয়েছে।
এদিকে, আটকৃত ৭জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আজ আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, কিছুক্ষন আগে আমাদের ৭জন নেতাকর্মীকে আদালতে আনা হয়েছে। আমরা এখনো কাগজপত্র হাতে পাইনি। তবে, মামলায় তাকে আসামী করা হয়নি বলে জানান তিনি।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আনোয়ার প্রধান (৪৭), সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য মোঃ জসিম উদ্দিন (৪০), ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির প্রচার সম্পাদক মোঃ ফারুক (৪৫), মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান (৪২), সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য ইউসুফ আলী (৬০), গজারিয়া থানার ছাত্রদলের সভাপতি মাহাদী ইসলাম বাবু(৩৫), মুন্সিগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ আবুল হাসেম (৩৪)।
জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকা থেকে শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় সাখাওয়াত হোসেনসহ ৫ জনকে আটক করা হয়। আটকদের মধ্যে সদর থানা বিএনপির সভাপতি আনোয়ার প্রধান, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান ছিল। বাকিদের নাম জানা যায়নি।
যদিও আটকের পর বিকেলে পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে এড. সাখাওয়াতকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।