বিএনপির ভাইদের বলবো, ফিরে আসেন আমাদের কাছে: সেলিম ওসমান
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জ বিএনপির প্রত্যেকটা ভাইয়ের কাছে আমার অনুরোধ রইল ফিরে আসেন আমাদের কাছে। আপনারা আমাদের সাথে কাজ করেছেন, আমার সাথে চলেছেন, মঞ্চে উঠেছেন। আবার আমার বিরুদ্ধে নির্বাচন করছেন । আপনাদেরকে ভুল বুঝানো হয়েছিল। লন্ডন থেকে এক সন্ত্রাসের প্ল্যানিংয়ে আপনারা বাংলাদেশের রাজনীতি করতে পারবেন সেটা আপনি চিন্তা করতে পারেন কিভাবে।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা-মহানগর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য ছিলাম যখন আপনারা এসেছেন । আমাকে কোন ছাড় দেন নাই। আমার ফ্যাক্টরিতে দখল করেছিলেন। আমার বাড়িতে গুলি করে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছিলেন। আমি তো কাউকে দোষী করিনি। আমি কি জানিনা কারা করেছেন। আমি বলব ঘরের ছেলে ঘরেই থাকেন সুখে শান্তিতে নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নে কাজ করেন। নারায়ণগঞ্জে ছিল একসময় বাংলাদেশের পাটের শহর ছিল । ৭৬ সালের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে ডেকে পাঠালেন। তিনি আমাকে বলেন যে কোন উপায়ে পাটের পরিবর্তে হুশিয়ারি নিয়ে এক্সপোর্টটের ব্যবস্থা করো। আল্লাহর রহমতে আপনাদের সামনে এইটুকু বলতে পারব । আজকের নারায়ণগঞ্জের ৪৫ লক্ষ মানুষ এ শিল্পে কাজ করছে। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন কর্মী। শেখ হাসিনা আমার মাতৃতুল্য বোন। যেখানে যেভাবে হুকুম হবে সেলিম ওসমান সেভাবেই কাজ করবে, অন্য কারো কথা সেলিম ওসমান কাজ করবে না। আপনারা মানুষের উপকার জন্য এগিয়ে যাবেন। মানুষের ভালোর জন্য এগিয়ে যাবেন মানুষকে ভালবাসতে শেখেন।
এমপি বলেন, আমি আমার অফিসে এ পর্যন্ত মানুষের সাথে কথা বলেছি কোন দলের সাথে কথা বলে নাই। প্রতিটা দলের প্রতিটা নেতাকর্মের সাথে আমি কথা বলেছি। আমি সর্বমোট ২০ হাজার মানুষের সাথে কথা বলেছি, আহ্বান করেছি। প্রত্যেকে যদি সদর বন্দর থেকে ২৫ জন করেও ভোটার আনতে পারো তাহলে ১০০% ভোট হয়ে যাবে। এখানে কে কোন দল করে সেটা দেখবেন না।
এসময় দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি চন্দনশীল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সানাউল্লাহ সানু, মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর আফজাল হোসেন, বন্দর উপজেলা আওয়মী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজীম উদ্দিন প্রধান, সাবেক কাউন্সিলর দুলাল প্রধান, ১৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানিসহ জাতীয় পার্টি ও আওয়ালীগের নেতৃবৃন্দ।